বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
অধীররঞ্জন চৌধুরীকে পদে পদে হোঁচট খেতে হচ্ছে। প্রথমে লোকসভা নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটে আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে অধীরের বক্তব্যকে পাত্তা দেননি রাহুল গান্ধী।
এবার তো তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের কাছে ক্ষমা চাইতে হলো লোকসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতাকে। যা রাজনৈতিক মহলে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
ইন্ডিয়া জোট কতটা অটুট থাকবে তা নিয়ে যখন ঘোরতর সন্দেহ চারদিকে, তখনই অধীরকে এই ক্ষমা প্রার্থনার পথে হাঁটতে হলো। ইতিমধ্যেই বাংলায় প্রবেশ করেছে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা। বিহারে ঢুকে ফের বাংলাতে প্রবেশেরও কথা রয়েছে। তাতে এখনও তৃণমূল কংগ্রেস যোগ দেয়নি।
সম্প্রতি ডেরেক বলেছিলেন, বাংলায় জোট কার্যকরী না হওয়ার কারণ অধীররঞ্জন চৌধুরী, অধীররঞ্ন চৌধুরী এবং অধীররঞ্জন চৌধুরী। অধীর যে কথাগুলি বলছেন তা দিল্লি থেকে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ শিখিয়ে দিচ্ছেন বলেও মোদী-শাহের নাম না করে কটাক্ষ করেছিলেন ডেরেক।
বাংলার ন্যায্য পাওনা কেন্দ্র আটকে রাখার বিষয়ে অধীর সরব হন না, কিন্তু তিনি বিগত দুই বছর ধরে বিজেপির সুরে কথা বলছেন বলেও বিঁধেছিলেন ডেরেক। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়েই অধীর ডেরেককে বিদেশি বলে চিহ্নিত করে বসেন। যার জেরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে।
ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ গোপন রাখেননি মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা তো লোকসভা ভোটে তৃণমূল বাংলার ৪২ আসনেই লড়বে বলে দলীয় সভায় ইঙ্গিত দেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, কংগ্রেসকে ২টি আসন ছাড়তে তৃণমূল রাজি থাকলেও ওরা ৮-১০টি আসন দাবি করছে।
অধীররঞ্জন চৌধুরীকে কোনও ফ্যাক্টর হিসেবেও না মানতে দলীয় নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দেন মমতা। অধীর পাল্টা চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলেছিলেন, তিনি লড়াই করে জিতেই এই পর্যায়ে এসেছেন। ফলে তৃণমূলকে ছাড়াই লোকসভা ভোটে কংগ্রেস লড়তে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছিলেন অধীর। যদিও সেই অবস্থান খারিজ করে দেন রাহুল গান্ধী।
এরই মধ্যে ডেরেকের কাছে ক্ষমা চাইতে হলো অধীরকে। অসাবধানতাবশতই ওই শব্দটি তাঁর মুখ থেকে বেরিয়ে গিয়েছে বলে দাবি অধীরের। এক্স হ্যান্ডলে আজ সন্ধ্যায় পোস্ট করে ক্ষমা চেয়েছেন অধীর। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের দাবি, ডেরেক এই ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণ করেছেন। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ইন্ডিয়া জোট থেকেই যেখানে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যে আওয়াজ উঠছে, সেখানে তৃণমূলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির দরজা খোলা রাখতেই অধীরে রাশ টানছে হাইকম্যান্ড।