বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::

চাকরি হওয়ার কথা জোয়ানদের। তারা রাস্তায় বসে কাজের দাবিতে আন্দোলন করছেন। এদিকে চাকরি পাচ্ছেন বৃদ্ধরা। আবার যারা মারা গিয়েছেন, তাদের নামেও এসেছে নিয়োগপত্র।

চাকরি নিয়ে দুর্নীতিতে বিদ্ধ রাজ্য সরকার। এই ঘটনা দুর্নীতির নয়। কিন্তু ঘটনা বমকে যাওয়ার মতোই। ষাট পেরিয়ে যাওয়ার পর হাতে এসেছে চাকরির নিয়োগ। হতবাক হওয়ার আরও বাকি আছে।

কারণ, যে ব্যক্তি মারা গিয়েছেন, তাদের নামেও নিয়োগপত্র বেরিয়েছে। হুগলি জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোড়। শিক্ষা সংসদে এই ঘটনা ঘটেছে। কীভাবে হল এই ঘটনা?

শেষ বয়সে হাতে পেলেন সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র। চাকরির নিয়োগপত্র গেল মৃত ব্যক্তিদের নামেও। প্রত্যেকেরই অবসরের বয়স পেরিয়ে গিয়েছে। তারা প্রত্যেকেই এখন প্রবীণ নাগরিক।এমন বয়সে প্রাথমিক স্কুলে চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পেলেন হুগলির ৬২ জন। আরও চারজনের নামে নিয়োগ পত্র দেওয়া হলেও তাদের মৃত্যু হয়েছে আগেই।

হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের এই নিয়োগপত্র নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এবিপিটিএ এই ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে। বিজেপির অভিযোগ, অকর্মণ্যদের দিয়ে কাজ করালে এমনই হয়। যদিও মুখে কুলুপ এঁটেছে শিক্ষা সংসদ।
সম্প্রতি হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন ৬৬ জনের নিয়োগপত্র দেন। যাদের সকলেরই বয়স ষাট পেরিয়েছে। চার জনের মৃত্যুও হয়েছে। এই নিয়োগপত্র নিয়ে অনেকেই উল্লিখিত স্কুলে গিয়ে খোঁজ নিয়েছেন। কেউ আবার সার্কেল অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করেছেন। ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল পরেছে।

নিয়োগপত্র পেয়েছেন পান্ডুয়ার দীনবন্ধু ভট্টাচার্য। তিনি এদিন পান্ডুয়া সার্কেলে চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে বলেন,সে সময় বামফ্রন্ট সরকার ছিল।আমরা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ছিলাম। আমারা চাকরি পাইনি। পরে প্যানেল বাতিল হয়ে যায়। এখন শিক্ষা সংসদ থেকে নিয়োগ পত্র পেয়েছি। কী করে হল জানি না।
৭১ বছরের বৃদ্ধ অচিন্ত আদক বলেন, আমরা ৮৩ সালে মামলা করেছিলাম। এখন চাকরি দিচ্ছে। কী করে দিল জানি না।ষাট বছরে তো অবসর হয়। আর এই বয়সে কী করে চাকরি করব।

এবিপিটিএর কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহন পন্ডিত বলেন, সারা ভারতবর্ষে এই ধরনের ঘটনা হয়নি। অবসরের বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পর চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে। সরকারি চাকরিতে ষাট বছর বয়স হল অবসরের। সেখানে ৬৫-৭০ বছর বয়সীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষকরা জয়েন করতে দেননি।আমরা তদন্ত চাই বিষয়টার সত্য উদঘাটিত হোক।

বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, মারা গিয়েছেন, এমন লোককেও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।বাকিদের কারোরই চাকরির বয়স নেই। এমন একটা সরকার চলছে যাদের কাছে কোনও খবরই নেই। কে মারা গেল, কে জীবিত আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *