বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
বুধবারও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সন্দেশখালিতে পুলিশ শাহজাহানকে বুধবার সকাল পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি। তাই নিয়ে বিচারপতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা নিয়ে ইডির ভূমিকা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন।
সন্দেশখালি এলাকাতে অবিলম্বে সিসিটিভি লাগাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। আজ বুধবার সকালে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতে জানান, ১০ টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ৩০৭ ধারা সহ বেশ কিছু নতুন ধারার জন্য নিম্ন আদালতে আবেদন করছে পুলিশ।
কেন মূল অভিযুক্তকে পুলিশ ধরতে পারছে না? ফের সেই প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি। এত কিছুর পরেও মূল অভিযুক্তকে পুলিশ ধরতে পারেনি? অদূর ভবিষ্যতে ধরা পরবে কী না তাও অজানা। এখনও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা বর্তমান। মূল অভিযুক্ত অধরা। তথ্য প্রমাণ লোপাট হচ্ছে। এমনই মনে করা হচ্ছে।
ইডির তরফে আইনজীবী জানিয়েছেন, এখন চাপমুক্ত হতে নতুন ধারা যুক্ত করার কথা বলছে পুলিশ। বুধবার ইডির আইনজীবীও বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়েন। শেখ শাহজাহান যদি আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হন। তাহলে এতদিন ইডি তাকে গ্রেফতার কেন করেনি? কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে থাকতে ইডি যদি গ্রেফতার না করতে পারে। তাহলে সিবিআই কী করে গ্রেফতার করবে?
ইডির কি আর্থিক দুর্নীতিতে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করার এক্তিয়ার আছে? প্রশ্ন উঠল আদালতে। ইডির আইনজীবী জানিয়েছেন, শেখ শাহজাহান সন্দেশভাজন। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, আমি এখনও আশা করি, এই মামলার রায়ের আগেই শেখ শাহজাহানকে পুলিশ গ্রেফতার করবে।
রাজ্য ও কেন্দ্র দক্ষ হিসেবে মনে করছে এমন দুজন করে আইপিএস অফিসারের নাম চেয়েছেন বিচারপতি। রায় নিয়ে এখনও তিনি কিছু ভাবেননি। বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ রায় ঘোষণা করা হবে। জানিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।