বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::

যারা দেশের একতার বিরুদ্ধে, সংহতির বিরুদ্ধে কাজ করে এসেছেন। তারাই সংহতি মিছিল করছেন। কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রীতি মিছিলের ডাক দিয়েছেন ২২ জানুয়ারি। রামমন্দির উদ্বোধনের দিন এই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে।

বুধবার সকালে তৃণমূল নেত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। কেন্দ্রীয় সরকার দেশজুড়ে যা অনুষ্ঠান করেন, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময়ই তার বিরোধিতা করেন। এটাকে তিনি রাজনীতি বলে মনে করেন।

তৃণমূল নেত্রী এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন, যেখানে তাঁর আলাদা জাতীয় সঙ্গীত চাই। আলাদা জাতীয় পতাকা চাই। আলাদা আদালতও হয়তো তিনি চাইবেন। এমনকী আলাদা লোকসভা তৈরির কথাও তিনি বলেছিলেন। যার ব্যবহারের মধ্যে কোথাও সংহতি, একতা নেই। তিনি সংহতি যাত্রা করুন। কিছু হবে না। এমনই আক্রমণ করলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল রেল নিয়েও কটাক্ষ করেছিলেন। তাই নিয়েও আক্রমণাত্মক দিলীপ ঘোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন জায়গায় জমি দিয়েছেন? প্রশ্ন দিলীপের। রাজ্যে রেলের ৬০ টি প্রকল্প আটকে আছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার জমি দিচ্ছে না বলে কাজ এগোচ্ছে না। দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতির।

বারাসতের কাছে এসে জাতীয় সড়কের কাজ আটকে গেল। রাজ্য সরকার জমি দেয়নি। কল্যাণী দিয়ে ঘুরতে হচ্ছে। এই রাজ্য সরকার রাস্তাঘাট করতে দেবে না। রেললাইন পাততে দেবে না। এদিকে রাজ্যের সাধারণ মানুষের জন্য এখানে রেল দরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও উন্নয়ন নিয়ে ভাবেন না। কেবল রাজনীতি নিয়ে ভাবেন। এমনই কড়া মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ।

সাধুদের উপর আক্রমণ করাটা ওদের রাজনীতি। দুষ্কৃতীদের দিয়ে ভোট করানো হয়। তাদের প্রোভোক করা হয় এইসব কাজে। শেখ শাহজাহানদের মতো লোকদের শেল্টার দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের বিষয়ে বাইরে মানুষের যে ভাবনাচিন্তা ছিল। সেগুলো পালটে যাচ্ছে। বাইরের লোকজনের কাছে বাঙালি হিসেবে এখন মুখ দেখানো মুশকিল। দাবি দিলীপ ঘোষের।

শেখ শাহজাহানকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত। অনেক লুটপাট করেছেন তিনি। খুনের সঙ্গে জড়িত। মুক্তাঞ্চল তৈরি করে রেখেছেন তিনি ওই এলাকায়। তাকে গ্রেফতার করা দরকার। এমনই মত দিলীপের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *