বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::

 

দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক কোনও ভাবেই ভাঙতে দেব না। শরীরে শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে রক্ষা করব। রেল এবং কেন্দ্রকে চরম হুশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। একই সঙ্গে আলিপুর বডিগার্ড লাইনও ভাঙতে দেওয়া হবে না বলেও কড়া বার্তা।মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ওটা হেরিটেজ। অনেক কষ্টে তৈরি করা হয়েছে। ফলে রেলের প্রস্তাব নিয়ে কার্যত সরাসরি কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতের রাস্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দক্ষিণেশ্বর মেট্রোর কাজের জন্যে এবং পরিষেবার মান উন্নত করতে প্রয়োজন ৯০ মিটার জমি। আর তা চেয়ে সম্প্রতি রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে রেল। আর এই কাজ করতে হলে ভাঙতে হবে দক্ষিনেশ্বর স্কাইওয়াক (Dakshineshwar Skywalk) । সে বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে রাজ্যকে দেওয়া চিঠিতে।

আর তাতেই চরম ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় Mamata Banerjee। স্পষ্ট জানিয়ে দেন কোনও মতেই ভাঙতে দেওয়া হবে না স্কাইওয়াক (Dakshineshwar Skywalk)। আজ মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।

আর সেখান থেকেই এই ইস্যুতে একযোগে রেল এবং কেন্দ্রকে একহাত নেন। বলেন, দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক (Dakshineshwar Skywalk) এবং আলিপুর বডিগার্ড লাইন্স আমার প্রাণের। কোনটাই ভাঙতে দেব না। প্রয়োজনে রুট বদলাতে সাহাজ্য করা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর কথায় দীর্ঘদিন রেল মন্ত্রক সামলেছি, কোনও সমস্যা হলে কী ভাবে তার সমাধান করতে হয়, তা আমি জানি।” এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কালীঘাটের স্কাইওয়াকের কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, খুব শিঘ্রই কালীঘাট তৈরি হয়ে যাবে। সেখানেও স্কাইওয়াক তৈরি হচ্ছে।

কোথাও কোনও সমস্যা হয়নি। সুন্দর ভাবে কাজ চলছে। হকারদের বসার জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। কাজ শেষ হয়ে গেলে দুপাশে বসার জায়গা করে দেওয়া হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসং তুলে রেল আধিকারিকদের মমতা পরামর্শ, ম্যাপ নয়, সরাসরি ময়দানে নেমে সার্ভে করুন।
পাশাপাশি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন যে সমস্ত কাজ করে গেছেন তা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, বাংলায় মেট্রো জোন আমি তৈরি করেছিলাম। দিল্লি মেট্রো আমি না থাকলে তৈরি হত না। জটিলতা কাটিতে পরে শিলা দীক্ষিত এবং আমি দিল্লি মেট্রো উদ্বোধন করেছিলাম বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।

এছাড়াও দেশের একাধিক মেট্রো প্রকল্পের সূচনা তাঁর হাত ধরে হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন। এমনকি সেই তালিকায় বাংলার বহু প্রজেক্ট আছে। আর তা তুলে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ২০১৯ সালে হওয়া প্রকল্পগুলি শেষ হয়নি। অল্প অল্প করে আর ছবি তোলে।

অন্যদিকে রিসার্চ করিয়ে অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস লাগানোর ব্যবস্থাও করা হয় বলেও এদিন জানান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আমি কেন্দ্রটাও বুঝি রাজ্যটাও বুঝি। ফলে সব সাহাজ্য করা হবে। কিন্তু স্কাইওয়াক ভাঙতে দেওয়া হবে না বলেই দাবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *