বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
আরও বিপাকে পড়লেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুবীর মৈত্র। সাসপেন্ড হওয়ার নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ নয়। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আদালত অবমাননা সংক্রান্ত মামলায় রেজিস্ট্রারের আবেদনে হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার সন্ধ্যায় রেজিস্ট্রারের সাসপেনশন নির্দেশিকা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রাক্তন বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়।
সোমবার রবীন্দ্রভারতীর রেজিস্ট্রারকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। সিঙ্গেল বেঞ্চের আদালত অবমাননা সংক্রান্ত নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আসেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। ওই মামলাতে রেজিস্ট্রারকে অহংকারী বলে পর্যবেক্ষণ ছিল সিঙ্গল বেঞ্চের।
প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম জানান, সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি বলছেন রেজিষ্ট্রার অহঙ্কারী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কাজকর্ম রেজিস্ট্রারের মাধ্যমেই হয়। স্টেট বা ইউনিভার্সিটি ডিভিশন বেঞ্চে কোন অ্যাপিল ফাইল করল না। আপনি ফাইল করলেন? প্রশ্ন বিচারপতির।
রেজিস্ট্রারের তরফে আইনজীবী জানান, ভিসি কাল অর্ডার ইস্যু করে দিয়েছে। রেজিস্ট্রার অসুস্থ। তাও সিঙ্গেল বেঞ্চ সাসপেন্ড করেছেন। প্রধান বিচারপতি সেই কথাকে গুরুত্ব দেয়নি। বিচারপতি জানিয়ে দেন, আপনারা সিঙ্গেল বেঞ্চে যান। সেখানে বলুন উনি অহঙ্কারী নন। উনি পরিস্থিতির জন্য এই জাতীয় ব্যবহার করেছেন।
কিন্তু কেন রেজিস্ট্রার সুবীর মৈত্রকে সাসপেন্ড করা হল? রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাদ্যযন্ত্রী শিক্ষকদের অবসরের বয়স ৬৫ করার বিষয়ে একাধিক নির্দেশ দিয়েছিলেন সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি। কিন্তু সেই নির্দেশ পালন করা হয়নি। এমনই অভিযোগ সামনে এসেছে।