বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::

শেখ শাহজাহান কেন আত্মসমর্পণ করছেন না? প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। সন্দেশখালি কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের এদিন শুনানি ছিল। একাধিক বিষয়ে উষ্মাপ্রকাশ করলেন বিচারপতি।

সন্দেশখালি গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছিল ইডি আধিকারিকদের। শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। কয়েক হাজার মানুষ আধিকারিকদের ঘিরে ধরে। ওই ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন তৃণমূলের এই নেতা।

সোমবার এই মামলা শুনানির সময় শেখ শাহজাহানের আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। তিনি শেখ শাজাহানকে এই মামলায় যুক্ত করার আবেদন করেন। বিচারপতি প্রশ্ন করেন মক্কেল কেন আত্মসমর্পণ করছেন না? বিচারপতি এই কথা শেখ শাহজাহানের আইনজীবীর কাছে জানতে চেয়েছেন।

আদালতের মধ্যে আইনজীবীর ব্যবহারে ক্ষুব্ধ বিচারপতি। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে তিনি কেন প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন? প্রশ্ন করেছেন বিচারপতি। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন বিচারপতির। মাত্র চার জন গ্রেফতার কেন? প্রশ্ন হাইকোর্টের।
কেস ডায়েরি না আনায় হাইকোর্টের ক্ষোভের মুখে রাজ্য পুলিশ। এমন মামলায় কেস ডায়েরি না দেখে কোনও অর্ডার দেওয়া যায় না। পুলিশ এতদিন ধরে কী করেছে। সেটা কেস ডায়েরি দেখেই বোঝা সম্ভব। এই কথা বলেছে আদালত। আগামী কাল ফের মামলার শুনানিম কাল পুলিশকে কেস ডায়েরি আনার নির্দেশ আদালতের।

এদিন রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত উপস্থিত ছিলেন। সৎভাবে বিচার দেওয়ার ইচ্ছে থাকলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুন। এমনই কড়া মন্তব্য করেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সনেশখালির ঘটনার তদন্তের ভার সিবিআইয়ের উপর দেওয়ার দাবি করেছেন ইডির তরফের আইনজীবী।
ইডির আইনজীবী এস ভি রাজুর বক্তব্য, প্রথমে রেশন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পরে সেই তদন্ত হাতে নেয় ইডি। কিন্তু পুলিশ নথি না দিয়ে অসহযোগিতা করে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, এখন কে তদন্ত করছে? অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, ন্যাজাট থানার পুলিশ তদন্ত করছে ডিএসপির নেতৃত্বে।

বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ৩০৭ ধারা কেন যোগ হয়নি? এখনও কেন ন্যাজাট থানার পলিশকে তদন্তে রাখা হয়েছে? এত দিনেও মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়নি। ইডির তরফে অভিযোগ, ঘটনার সময় শাহজাহান বাড়িতে ছিল। সব ঘটনার পরে পুলিশ কি সেই বাড়িতে ঢুকেছিল?

কিশোর দত্ত জানান, আহত ইডি অফিসাররা বলেছেন, তাদের ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল। তাই ৩০৭ ধারা যুক্ত করা হয়নি। কেন মাত্র চার জন সন্দেশখালির ঘটনায় গ্রেফতার? সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *