বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: দিঘা: স্নানযাত্রার পর ১৫ দিন অনসরে ছিলেন প্রভু। অনসর পর্বের পর আগামী কাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে জগন্নাথ দর্শন করতে পারবেন ভক্তরা। মূল গেট দিয়ে ভক্তদের প্রবেশ করানো হবে এবং ৬ নম্বর গেট দিয়ে বেরোতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার সকালে হবে নেত্র উৎসব। বিকেলে হবে রশি পুজো। সেখানে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ভক্তদের দুধ, জল সহ অন্যান্য তরল পদার্থ ঢালার কারনে প্রভু অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই তিনি স্নানযাত্রার পর থেকে অনসরে যান। সুস্থ করার জন্য ঔষদের পাশাপাশি ভুরিভোজ খাওয়ানো হয় না। ১৫ দিন পর আগামীকালই সুস্থ হয়ে উঠবেন। তাই সকাল থেকে প্রভুর জন্য বিশেষ আয়োজন। প্রভুকে নতুন করে রং করা, নতুন সাজে সাজানো হবে। এদিন প্রভুকে সকাল সকাল ঘুম থেকে তুলে দাঁত মাজানো রবং নতুন করে সাজিয়ে তোলা হবে। সকাল সাতটার সময় পূজার্চনার পর টিফিন খাওনো হবে। তারপর চলবে পূজার্চনা। বহুদিন পর প্রভু খাবেন। তাই ৫৬ ভোগের আয়োজন জমকালো ভাবে করা হবে। ৫০ জন বিদেশী এসেছেন। তারা নিজের হাতে প্রভুর প্রছন্দমতো বেশ কয়েকটি খাওয়ার বানাবেন। পাশাপাশি ইস্কন থেকে আগত পুরোহিতরা প্রভুর জন্য প্রভুর প্রছন্দের খাওয়ার বানাবেন। বিভিন্ন ধরনের ভাজা, খেচুড়ি,ডাল, সুক্তো, কলার মোচা দিয়ে তরকারি, পটলের তরকারি, বৈতালের ঘন্ট সহ একাধিক পদ যেমন থাকবে তেমনি বাংলার প্রিয় বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি ও পায়েস থাকবে ৫৬ ভোগে।
১৫ দিন পর ভক্তরা প্রভুর দর্শন দেবেন তাই সকাল ৮ টা থেকে ভক্তরা মন্দিরে প্রবেশ করবেন। বহুদিন পর প্রভু দর্শন মিলবে তাই বহু মানুষের সমাগম ঘটবে।কোনো রকম অশান্তি বা অপ্রতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য ১ নম্বর গেট দিয়ে ভুক্তদের মন্দিরে প্রবেশ করানো হবে এবং ৬ নম্বর গেট দিয়ে বের করানো হবে।পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।
দিঘা জগন্নাথ মন্দির পরিচালন কমিটির অন্যতন কলকাতা ইস্কনের সহ সভাপতি রাধারামন দাস জানান, ” ১৫ দিন অনসরে থাকার পর আগামীকাল নতুন সাজে প্রভু ভক্তদের দেখা দেবেন। তার জন্য সকাল থেকে নানা আয়োজন। দফায় দফায় পূজার্চনা এবং প্রভুর প্রছন্দের খাওয়ার দিয়ে ৫৬ ভোগ নিবেদন করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘায় রয়েছেন। বৃহস্পতিবার ৫৬ ভোগ নিবেদনের সময় মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকতে পারেন। প্রভুকে ভোগ নিবেদনের পর দুপুরে নিদ্রা নেবেন। বিকেলে নিদ্রা থেকে উঠলে রথের রশি পুজা সহ রথের আচার অনুষ্ঠান পালন করা হবে। রশিপুজো আচার অনুষ্ঠানের পর সন্ধ্যায় তিনট রথকে মন্দির ভেতর থেকে মন্দিরের সামনে নিয়ে আসা হবে আর সেখানেই থাকবে বলরাম, সুভদ্রা ও প্রভু জগন্নাথের রথ। তিথি অনুযায়ী শুক্রবার গড়বে প্রভুর রথ।”