বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুর : বর্ষা আসা মানেই কংসাবতীতে বানভাসি। আর আসে পাশের সমস্ত গ্রাম জলের তলায়। তা থেকে মুক্তি পাবার জন্য আগেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জলস্তর বাড়ছে কংসাবতীতে। বর্ষা শুরুতে কংসাবতীর এই পরিস্থিতি দেখে আবারও আতঙ্কে পাঁশকুড়াবাসী। শেষ বছর নদীবাঁধ ভেঙে বন্যার জলে প্লাবিত হয়েছিল পাঁশকুড়া শহর থেকে গ্রাম্য এলাকা। বন্যার জল নেমে যেতেই ভেঙে যাওয়া নদী বাঁধের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু কাজ খুব ধীর গতিতে হচ্ছিল বলে ক্ষোভ এলাকাবাসীর। এলাকাবাসীর অভিযোগ, যে গতিতে কাজ হচ্ছে এই বর্ষায় আবারও দুর্ভোগ পোহাতে হবে পাঁশকুড়াবাসীকে। পাঁশকুড়ার গড় পুরুষোত্তমপুর এলাকার সেই নদী বাঁধ নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে যান জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী সহ তমলুকের মহকুমা শাসক, সেচ দফতরের আধিকারিক, বিডিও সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় জেলাশাসক ওই বাঁধের কর্মরত এজেন্সিকে ধমক দেন। এবং পরিদর্শন শেষে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে সেচ দফতরের আধিকারিককে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে নদী মেরামতের কাজ শেষ করার ডেড লাইন দেন জেলাশাসক। কাঁসাই নদীর জলস্তর বাড়ছে, চিন্তা বাড়ছে পাঁশকুড়াবাসীর। কারণ নদীবাঁধ মেরামতের কাজ শেষ হয়নি। তাই নিয়ে ক্ষোভ। এবার প্রশাসন থেকে ডেড লাইন বেঁধে দেওয়া হল। এ বিষয়ে জেলাশাসক জানান, ‘শেষ বছর বন্যায় তিন জায়গায় বাঁধ ভেঙেছিল। দুই জায়গায় কাজ কমপ্লিট। এই জায়গার কাজ চলছে। কিন্তু নরম মাটির জন্য এস্টিমেট অনুযায়ী কাজ করার পরেও কাজ সম্পন্ন হয়নি। সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে পরিদর্শন করা হয়েছে।’