বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: তাপ প্রবাহে পুড়ছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি। ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবার দক্ষিণবঙ্গে। এপ্রিলের শুরু থেকেই বেড়েছে দহনের তীব্রতা। এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া দফতর লাল সতর্কতা জারি করেছে। নবান্নের তরফে দুপুরে বাড়ির বাইরে না পেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই সব সরকারি স্কুলে গরমের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বেসরকারি স্কুলগুলিতে অনলাইন ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাইরে বেরোতে না গলেও ঘরেও তো গরমের দাপট রয়েছে। শিশুরা বাইরে না বেরোলেও এই গরমে তাঁদের গরমের ধাক্কা কিন্তু লাগছেই। তাতে স্বাস্থ্যের ঝুণকি আরও বাড়ছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে যাচ্ছে চারপাশে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এই গরমে তিন থেকে ১৫ বছর বয়সীদের শরীরে ব্যপক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়ছে। যেভাবে গরম বাড়ছে তাতে তার প্রভাব সব বয়সীদের মধ্যেই পড়ছে। তবে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে শিশু এবং প্রবীণদের উপরে। হিট স্ট্রোক সহ একাধিক রোগের প্রকোপ বাড়তে শুরু করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা।
মেদিনীপুরের থেকে এখন বেশি তাপমাত্রা কলকাতা শহরে। এতোটাই গরম এবার বেড়েছে। এই পরিস্থিিততে শিশুদের কীভাবে সুরক্ষিত রাখা যায় তা নিয়ে উদ্বেগে অভিভাবকরা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গতমাস থেকেই শিশুদের মধ্যে ডিহাইড্রেশনের ঘটনা বাড়ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, স্কুলে না গেলেও শিশুরা বাইরে খেলতে যায়। আর তখনই তাঁদের শরীরে জলের সংকট দেখা দেয়। শিশুরা পর্যাপ্ত জল পান করছে কিনা সেটা সবসময় দেখা যায় না।
এই পরিস্থিতিতে শিশুদের সুস্থ রাখতে সবসময় খেয়াল রাখতে হবে বাড়িতে থাকলেও তারা যেন পর্যাপ্ত জল, ওআরএস এবং পানীয় পান করে। সময়ে সময়ে তারা যাতে সেই পানীয় পান করে সেদিকে অভিভাবকদের নজর রাখতে হবে। সেই সঙ্গে জাঙ্ক ফুড থেকে যাতে তারা বিরত থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে। দিনে যাতে তারা কমপক্ষে ১০ গ্লাস জল পান করে সেদিকে নজর রাখতে হবে। সেই সঙ্গে তারা যাতে দুপুর ১২টা থেকে ৪ টে পর্যন্ত বাড়ির বাইরে না বেরোয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
শিশুদের পোশাকের দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। তাদের খালি গায়ে না রেখে গায়ে হালকা সুতির পোশাক পরিয়ে রাখবেন। সেকারণে সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। সুতির পোশাক পরে তাঁদের বাইরে বের করতে হবে। কাজেই বাড়িতে পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।