বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: মতুয়া মহা সঙ্ঘের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে রাখা হয়েছিল। মতুয়া মহা সঙ্ঘের ক্ষমতা কার কাছে যাবে? তাই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। এবার সেই মামলাতেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল আদালত।
কেন পুলিশ নূন্যতম অনুসন্ধান করেনি? কেন একাধিক অভিযোগের ধারা এক সঙ্গে দেওয়া হয়েছে? কেন আয়কর দফতরের থেকে পুলিশ তথ্য সংগ্রহ করেনি? সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আরও একবার কলকাতা হাইকোর্টে মুখ পুড়ল রাজ্যের পুলিশের।
এর আগে আয়কর দফতরকে বিস্তারিত তথ্য দিতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ তিন দিন পরে আজ বৃহস্পতিবার ফের শুনানি হয়৷ কাগজপত্র দেখে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। ফ্রিজ করা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট শর্ত সাপেক্ষে খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এমন শত্রুতা বাড়ার মূল কারণ বলে মনে করে আদালত। মমতাবালা ঠাকুর ও শান্তনু ঠাকুরের এই লড়াই। দুপক্ষই রাজনৈতিক ভাবে দুটি ভিন্ন মেরুতে আছে। সেখানে ক্ষমতায় বসা নিয়ে এই দণ্ড অস্বাভাবিক নয়। আদালতের এমনই পর্যবেক্ষণ।
গাইঘাটা থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়েও আদালত প্রশ্ন তুলেছে। গাইঘাটা থানা অভিযোগ পাওয়ার পরে নূন্যতম অনুসন্ধানের চেষ্টা করেনি। সরাসরি এফআইআর বেশি সহজ মনে করেছে। আবার ওসি প্রতারণা ও প্রতারণায় উদ্ধার দ্রব্য, সব ধারা একসঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন।
আদালতের কটাক্ষ, খুনের ধারা যুক্ত করতে বাকি রেখেছে পুলিশ। আদালত মনে করেছে এটা বেআইনি এফআইআর। এর ভিত্তিতে কী করে অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হল? আদালত বেনিয়ম দেখছে। আয়কর দফতর থেকে পুলিশ কোনও তথ্য সংগ্রহ করেনি। আদালতে প্রথম আয়কর দফতর এই তথ্য দিল।
এফআইআর করার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা পুলিশের মূল লক্ষ্য ছিল? তাই নিয়ে আদালতেরও প্রশ্ন আছে। ওই অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
মামলাকারী, ওই অ্যাকাউন্ট আগামী দিনে ব্যাবহার করলে প্রতিটি পাই পয়াসার হিসেব রাখতে হবে। তার হিসেব দিতে হবে থানাকে। তার আগে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি হিসেবে দেড় কোটি টাকা জমা দিতে হবে হাইকোর্ট রেজিস্ট্রারের কাছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দেবে সব পক্ষ। এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।