বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ভেড়ির আড়ালেই কালো টাকা সাদা করার কাজ চলত! আদিবাসীদের জমি দখল করে চলত এই কাজ। আদালতে এমনটাই দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দফায় দফায় জেরা শেষে শনিবার সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) গ্রেফতার করা হয়।

 

সোমবার ইডির বিশেষ আদালতে তোলা হয় তাঁকে (Sheikh Shahjahan)। আর সেখানেই বিস্ফোরক দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (Enforcement Directorate) ।

এই বিষয়ে তৃণমূল নেতাকে নিজেদের হেফাজতে পেতে চায় আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদন মঞ্জুর করে। ফলে আপাতত কয়েকদিন ইডি জেফাজতেই থাকতে হবে শেখ শাহজাহানকে। আগামী ১৩ এপ্রিল পরবর্তী হাজিরার নির্দেশ। এদিন আদালতে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে একের পর এক কেলেঙ্কারির কথা তুলে ধরে ইডি। আর তা তুলে ধরে তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী জানান, দেশের স্বার্থে, সন্দেশখালির (Sandeshkhali case) মানুষের স্বার্থে শাহজাহানকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন।

ইডির দাবি, আদিবাসীদের জমি দখল করতেন শেখ শাহজাহান। বিভিন্ন প্রভাব খাটিয়েই চলত এই কাজ। শুধু তাই নয়, মোটা টাকার বিনিময়ে ওই জমি অন্যদের ব্যবহার করতে দিতেন তৃণমূল নেতা। শুধু তাই নয়, কালো টাকা সাদা করতে খোলা হয়েছিল একটি সংস্থাও। যে সংস্থা চিংড়ির ব্যবসা করত বলে দাবি। সেটি শেখ শাহজাহানের মেয়ের নামে রয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। শুধু তাই নয়, চিংড়ির ব্যবসার আড়ালে জমি দখলের কালো টাকা সাদা করা হতো।

যদিও চিংড়ির ব্যবসায় লেনদেন হয়েছে বলেই শাহজাহান দেখাতো। এর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার নয়ছয় হয়েছে বলেও দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। পুরো এই কেলেঙ্কারির ‘কিংপিন’ সন্দেশখালির বাদশা নিজেই। দাবি আইনজীবীর। এই বিষয়ে আরও জেরা করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন ইডি আধিকারিকরা। যদিও গত শনিবার একাধিক নথিকে সামনে রেখে জেলে গিয়ে শেখ শাহজাহানকে জেরা করে ইডি। কিন্ত্য কোনও প্রশ্নেরই উত্তর তিনি দেননি বলে অভিযোগ। এমনকি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলেও দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

অন্যদিকে শেখ শাহজাহানের ফাঁসি চাই এদিন এই রকমই পোস্টার দেখা গেল কলকাতার নগর দায়রা আদালতে। বেশ কিছু আইনজীবী কলকাতার নগর দায়রা আদালতে শেখ শাহজাহানের ফাঁসি চাই এই রকমই পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখলেন । প্রসঙ্গত কলকাতার নগর দায়রা আদালতেই এদিন শেখ শাহাজানকে পেশ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *