বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক :: এক কথায় ভোটের আগে কোমড় ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে কংগ্রেসের এমনই অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতারা। ২০১৭-১৮ থেকে ২০২০-২১ পর্যন্ত মোট তিন বছরে যে পরিমান আয়কর বাকি রয়েছে। পুরোটা তথ্য খতিয়ে দেখে সুদ সহ এই ১৭০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে কংগ্রেসকে।
এর আগেও আয়কর বিভাগ নোটিস দিয়েছিল কংগ্রেসকে। ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের আয়করের হিসেব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দিল্লি হাইকোর্টে এই নিয়ে কংগ্রেস আর্জি জানিয়েছিল কিন্তু আদালত সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। বিচারপতি যশবন্ত বর্মা এবং বিচারপতি পুরুষৈন্দ্র কুমারের বেঞ্চ আর্জি জানিয়েছিল যে তারা এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন না।
এর আগে কংগ্রেসকে ১০৫ কোটি টাকার নোটিস ধরিয়েছে আয়কর বিভাগ। তাই নিয়েও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস । কিন্তু তাতেও কোনও হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়ে দেন বিচারপতিরা। এদিকে ভোট এগিয়ে আসছে। কিন্তু ভাড়ার প্রায় শূন্য। প্রচার চালানোর মতো রশদ ফুরিয়ে আসছে কংগ্রেসের।
রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এই কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতারা। যাতে কংগ্রেস প্রচার চালাতে না পারে তার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ প্রচার চালানোর মতো যে পরিমান টাকা প্রয়োজন সেই টাকা খরচ করতে পারছেন না তাঁরা। সেই টাকা যে অ্যাকাইন্টে রয়েছে সেই অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। এবার কি করবে কংগ্রেস সেটাই দেখার।
কিন্তু একের পর এক আয়কর দফতরের জরিমানার নোটিস আর অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের ঘটনায় চাপ বেড়েছে কংগ্রেস শিবিরে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তার উপরে দলের অন্দরেই অনের মতভেদ তৈরি হয়েছে। ইন্ডিয়া জোট তেমন ভাবে শক্তিশালী করে উঠতে পারেনি কংগ্রেস। অনেক রাজনৈতিক দলই একক লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর কয়েকদিন পড়েই ভোট ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট গ্রহণ।