বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক :: লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচন। ময়দানে নেমে পড়েছে শাসক-বিরোধী সবপক্ষই। আর এর মধ্যেই কৃষ্ণনগরের বহিস্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) ।

গত কয়েকদিন আগেই তৃণমূল নেত্রীর কলকাতার বাড়ি সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই(CBI)।

এরপরেই ইডির নোটিশ। ফেমা আইনে আগামীকাল বৃহস্পতিবার মহুয়াকে (Mahua Moitra) দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। ভোটের আবহে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের এহেন সক্রিয়াতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও পুরোটাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করছে তৃণমূল। এজেন্সিকে ব্যবহার করে বিজেপি ভোট ‘লুঠে’র চেষ্টা করছে।

কৃষ্ণনগরের মানুষ এর জবাব দেবে বলে দাবি নেতৃত্বের। যদিও এহেন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেছে বঙ্গ বিজেপি। মানুষের ভোট পেতে এজেন্সিকে ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না বলে স্পষ্ট দাবি বিজেপির এক নেতার।।

এর আগেও একাধিকবার ‘বিদেশ মুদ্র লেনদেন’ সংক্রান্ত মামলায় (foreign exchange contravention case) কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীকে তলব করে ইডি। কিন্তু হাজিরা দেননি। ফলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ইডির ডাকে মহুয়া সাড়া দেন কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে। বলে রাখা প্রয়োজন, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে এবারও মহুয়াকে (Mahua Moitra) প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাঁর কেন্দ্র থেকেই এবার লোকসভার প্রচারে নামছেন। আর তার আগে আজ বুধবার ওই কেন্দ্রেরই বিজেপি প্রার্থী তথা কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির রাজমাতা অমৃতা রায়’এর সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘ ফোনালাপে মহুয়া মৈত্রের নাম উঠে আসে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা উঠে আসে।
পাশাপাশি রাণী মা প্রধানমন্ত্রীকে জানান, আমি মানুষকে জিজ্ঞেস করি মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) কী হবে? তাঁরা বলেন, ওকে তো জেলে যেতে হবে। যা শুনে হেসে ফেলেন প্রধানমন্ত্রীর। আর এরপরেই ইডির নোটিশ তৃণমূলের বহিস্কৃত সাংসদকে।

বলে রাখা প্রয়োজন, টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন মামলায় তাঁর (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে লোকপাল। সেই মতো গত কয়েকদিন আগেই সিবিআই’য়ের বিশেষ দল বহিস্কৃত সাংসদের বাবার ফ্ল্যাট সহ একাধিক জায়গা তল্লাশি চালায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরায়টোপে তল্লাশি চলে তৃণমূল নেতার কৃষ্ণনজরের নির্বাচনী কার্যালয়েও। খোঁজ চলে মহুয়ার। কিন্তু খালি হাতেই ফিরতে হয় তদন্তকারীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *