বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বিরাট কোহলি, ফাফ দু প্লেসিরা পারেননি। ফাইনালে উঠেও আইপিএল খেতাব অধরা থেকেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। যদিও WPL-এ এবার খেতাব জয়ের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখলেন স্মৃতি মান্ধানারা।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের এলিমিনেটর থেকেই বিদায় নিল গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ফাইনালে দিল্লি ক্যাপিটালসের সামনে স্মৃতি মান্ধানার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আরসিবির। ৯.১ ওভারে ৪৯ রানে পড়ে চতুর্থ উইকেট। সেখান থেকে আরসিবি ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩৫ রানে পৌঁছয় এলিস পেরির দুরন্ত অর্ধশতরানে ভর করে। স্মৃতি মান্ধানা ও সোফি ডিভাইন দুজনেই ১০ রান করেন। দিশা কসাট ০ ও রিচা ঘোষ ১৪ রানে আউট হন।

সোফি মলিনিউক্স ১১ রান করে যখন আউট হন তখন আরসিবির স্কোর ১৫ ওভারে ৫ উইকেটে ৮৪। এলিস পেরি আটটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ৫০ বলে ৬৬ রান করেন। জর্জিয়া ওয়ারহ্যাম ১০ বলে ১৮ ও শ্রেয়াঙ্কা পাতিল ৩ বলে ৩ রানে অপরাজিত থাকেন। হেইলি ম্যাথুজ, ন্যাট সিভার-ব্রান্ট ও সাইকা ইশাক ২টি করে উইকেট নেন।

জবাবে খেলতে নেমে ভালোভাবেই রান তাড়া করছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ১৮তম ওভারের শেষ বলে হরমনপ্রীত কৌর আউট হলে স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১২০। অর্থাৎ শেষ ১২ বলে দরকার ছিল ১৬ রান। সেই ম্যাচও ৫ রানে হেরে গেল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। এই ১২ বলের খারাপ ব্যাটিংকেই পরাজয়ের জন্য দায়ী করেছেন হরমনপ্রীত।
হরমনপ্রীতের আক্ষেপ, ওই ২ ওভারে একটা বাউন্ডারি হলেই জেতার পথ সহজ হয়ে যেত। কিন্তু পরের দিকে ব্য়াটাররা চাপ সামলাতে পারেননি। এই ম্যাচ থেকে শিক্ষা আগামী দিনে কাজে লাগবে বলে মনে করেন হরমনপ্রীত। শেষ ২৪ বলে ৩২, ১৮ বলে ২০, ১২ বলে ১৬ এবং ৬ বলে ১২ রান দরকার ছিল মুম্বইয়ের।

অধিনায়ক হরমনপ্রীত ৩০ বলে সর্বাধিক ৩৩ রান করেন। যস্তিকা ভাটিয়া ১৯, হেইলি ম্যাথুজ ১৫, ন্যাট সিভার-ব্রান্ট ২৩ রান করেন। অ্যামেলিয়া কের ২৫ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রানে থামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। শ্রেয়াঙ্কা পাতিল ২টি, এলিস পেরি, সোফি মলিনিউক্স, জর্জিয়া ওয়ারহ্যাম ও আশা শোভনা ১টি করে উইকেট নেন। ফাইনাল রবিবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *