বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ভোটের দিন ঘোষণা হয়নি এখনও। তার আগেই এবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বামফ্রন্ট। প্রার্থী নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেইন শরিকদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। বিশেষ করে কংগ্রস এবং আইএসএফের উপর অনেক কিছু নির্ভর করতে চলেছে।
কিন্তু কংগ্রেসের তরফে তেমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। কার্যত জোটের জটের মধ্যেই এদিন রাজ্যের ১৬ টি লোকসভা আসনে (Loksabha Election 2024) প্রার্থী ঘোষণা করলেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তার মধ্যে সিপিএমের ১৩টি আসন এবং শরিকদের ৩টি আসন রয়েছে।
তবে এদিন যে ১৬ টি আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে প্রত্যেকেই নতুন মুখ। ভোট বৈতরণী পার হতেই তরুণ মুখেদের উপরেই ভরসা রেখেছেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের ম্যানেজাররা। তবে কয়েকটি আসন নিয়ে রীতিমত চাপের মুখে পড়তে হয়েছে বামফ্রন্টকে।
বিশেষ করে সুজন চক্রবর্তী চেয়েছিলেন যাদবপুর লোকসভা আসন থেকে লড়াই করতে। কিন্তু তাঁকে দমদম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। দমদম কেন্দ্রে অন্য একজন প্রার্থী করতে চেয়েছিল বামেরা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বদলে যায় পরিস্থিতি। একই ভাবে আরও বেশ কয়েকটি আসন নিয়ে ফ্রন্টের বৈঠকে জোর চর্চা হয়েছে বলে খবর।
অন্যদিকে কলকাতা দক্ষিণ থেকে সায়রা শাহ হালিমের উপরেই ভরসা রাখলেন বাম নেতৃত্ব। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে কার্যত গোটা রাজ্যেই মুখ থুবড়ে পড়ে বামেরা। সেই সময় বালিগঞ্জে প্রায় ৩০ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন সায়রা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে উঠে আসেন তালিকার দ্বিতীয় নম্বরে। আর তাই লোকসভায় সায়রার উপরেই ভরসা রাখল বামেরা।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন কেন্দ্রে কে প্রার্থী-
কলকাতা দক্ষিন- সায়রা শাহ হালিম (সিপিএম)
যাদবপুর – সৃজন ভট্টাচার্য (সিপিআইএম)
কোচবিহার- নীতিশ চন্দ্র রায় (ফরওয়ার্ড ব্লক)
জলপাইগুড়ি – দেবনাথ বর্মন
বালুরঘাট- জয়দেব সিদ্ধান্ত (আরএসপি)
কৃষ্ণনগর- এস এম সাদি (সিপিএম)
দমদম- সুজন চক্রবর্তী (সিপিএম)
হাওড়া- সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় (সিপিএম)
শ্রীরামপুর-দীপ্সিতা ধর (সিপিএম)
হুগলি- মনোদীপ ঘোষ
তমলুক- সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় (সিপিএম)
মেদিনীপুর- বিপ্লব ভট্ট (সিপিআই)
বাঁকুড়া- নীলাঞ্জন দাসগুপ্ত (সিপিআইএম)
বিষ্ণুপুর- শীতল কৈবর্ত (সিপিএম)
বর্ধমান পূর্ব-নীরজ খান (সিপিএম)
আসানসোল- জাহানারা খান (সিপিআইএম)
তবে এদিন ডায়মণ্ডহারবার কেন্দ্রের জন্য কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। ওই কেন্দ্র থেকে নৌসাদ দাঁড়াতে পারে বলে জোর জল্পনা চলছে। তবে এই বিষয়ে আলোচনা চলতেই পারে বলে দাবি বিমান বসুর। তবে জোট নয়, আসন সমঝোতার উল্লেখ করেন তিনি।