বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: সিএএ চালু হল ভারতবর্ষে। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি সরকারের বড় ঘোষণা। সোমবার সন্ধ্যা থেকেই উৎসাহ, আনন্দ, উদ্দীপনা মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে। ঠাকুরনগরের মতুয়া ঠাকুরবাড়ির সামনে উৎসব শুরু।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর মতুয়া সমাজের প্রতিনিধি৷ তিনি বার বার দাবি করেছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই এই সিএএ চালু হবে। মতুয়ারা এবার ভারতের নাগরিক হিসেবে যথাযথ পরিচয়পত্র পাবেন। এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস শান্তনু ঠাকুরের এই মন্তব্য ঘিরে কটাক্ষ করেছেন।
এবার সেই সিএএ চালু করল বিজেপি সরকার। লোকসভা ভোটের আগে এই বিষয়টি মাস্টার্স স্ট্রোক। এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ২০১৮ সালে মতুয়া ভোটব্যাঙ্কের একটা বড় অংশ বিজেপির ঝুলিতে যায়। সেইসময় ভোটের প্রচারে ছিল নাগরিকত্ব আইনের প্রতিশ্রুতি।
সেই প্রতিশ্রুতিতে ভর করে বিজেপি বাংলায় বিপুল আসন জয় করেছিল। মধ্যে পাঁচ বছর পেরিয়ে গিয়েছে৷ গঙ্গা দিয়ে প্রচুর জল বয়ে যায়। আবার লোকসভা নির্বাচন। তৃণমূল নিজের দিকে মতুয়া ভোট টানতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে। মমতাবালা ঠাকুরকে তৃণমূল রাজ্যসভায় পাঠিয়েছে।
বিজেপির দলবদলু বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীকে প্রার্থীও করেছে তৃণমূল। রাণাঘাট কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে লড়াই করছেন মুকুটমণি। কিন্তু সিএএ চালুর পরে কতটা বদলে যাবে সমীকরণ? মতুয়া ভোট সুইং করে কি বিজেপির দিকেই যাবে? সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ অধিকারী সিএএ চালুর জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷ কারোর নাগরিকত্ব হারাবে না। নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই কথা জানিয়েছেন। আরেক মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রাণাঘাট, বনগাঁ এলাকায় প্রচুর সংখ্যক মতুয়া ভোট আছে। এছাড়াও উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা, দক্ষিণবঙ্গে নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া সহ একাধিক জেলায় মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক আছে।
এই অবস্থায় মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক বিজেপির পক্ষে কতটা যাবে? সেই জল মাপছে রাজনৈতিক মহল। এক সময়ে অধৈর্য হয়ে পড়েছিল মতুয়ারা৷ বিজেপি কি সত্য কথা বলছে না? সেই প্রশ্ন উঠেছিল। সেই মতুয়া সম্প্রদায়ের মুখেই মোদী জয় জয়কার ধ্বনি৷
মতুয়া ঠাকুরবাড়ি এলাকায় খুশির হাওয়া, ডঙ্কা, কাঁসর, ঘণ্টা বাজানো হচ্ছে। আজ তাদের স্বাধীনতা দিবস। সেই কথাও বলতে শোনা গিয়েছে অনেককে৷