বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: গতকাল রাতেই দেশজুড়ে লাগু হয়েছে সিএএ বা নাগরিকত্ব আইন। সেই আইন জারিতে প্রথম থেকেই প্রবল আপত্তি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই মোদী সরকার সিএএ লাগু করায় ফুঁসে উঠেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ঠিক লোকসভা ভোটের আগে সিএএ লাগু করা পুরোটাই পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সীমান্ত জেলা উত্তর ২৪ পরগনায় একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা মুখ্যমন্ত্রী। সিএএ লাগুর পর সীমান্ত জেলায় প্রথম সভা। কী বলবেন মমতা সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

গতকাল রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি জারি করে নাগরিকত্ব আইন গোটা দেশে কার্যকর করেছে। এই আইনে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিশ্চান সম্প্রদায়ের বিতাড়িত মানুষকে নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার। অবশ্যই সেটা ২০১৪ সালের ৩১ জানুয়ারির আগে যাঁরা ভারতে এসে বসবাস করছেন তাঁদের জন্য প্রযোজ্য হবে। তার পরে যাঁরা এসেছেন তাঁদের জন্য প্রযোজ্য হবে না।

মোদী সরকারের এই নাগরিক সংশোধনী আইন কার্যকর করা নিয়ে একাধিকবার গোটা দেশ উত্তাল হয়েছে। বিক্ষোভের আগুন জ্বলেছে গোটা দেশে। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব আইন পাশের প্রায় ৪ বছর পর ঠিক লোকসভা ভোটের আগে কৌশলে এই নাগরিকত্ব আইন গোটা দেশে কার্যকর করার নেপথ্যে যে মোদী সরকারকেক সুিনর্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
গতকালই মোদী সরকারের এই পদক্ষেপের প্রবল সমালোচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি দাবি করেছিল সিএএ লাগু হলেই তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কমবে। বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে এসে ভোট ব্যাঙ্ক বাড়ানোর কৌশল করে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার আর সেটা করতে পারবে না তারা। সিএএ লাগুতে যে রাজ্যের ভোট ব্যাঙ্কে ধাক্কা আসবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

কিন্তু মোদী সরকারের এই পদক্ষেপের মোকাবিলায় পিছিয়ে থাকতে রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেসও। ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে তারা। আজ সীমান্ত জেলা উত্তর ২৪ পরগনায় প্রথম সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গ সফর সেরে সোজা হাবড়ায় যােবন তিনি। সেখানে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দুপুর ১২টা নাগাদ তাঁর সেখানে পৌঁছনোর কথা।

একদিকে সিএএ কার্যকর আরেকদিকে সন্দেসখালি কাণ্ডের পর মমতার প্রথম উত্তর ২৪ পরগনায় সফর। কাজেই এই সভা যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। সন্দেশখালি নিয়ে তিনি কোনও কথা বলেন কিনা সেদিকে যেমন নজর থাকবে সেকরমই নজর থাকবে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কী কথা বলেন তিনি। কারণ ভারতের মধ্যে অসম এবং পশ্চিমবঙ্গেই সবচেয়ে বেশি অনুপ্রবেশ সমস্যা তৈরি হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *