বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে মাস্টারস্ট্রোক মোদী সরকারের! দীর্ঘ চারবছরের প্রতীক্ষা শেষে নাগরিকত্ব আইন অর্থাৎ CAA কার্যকর করা হল। আজ মঙ্গলবার থেকেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানানো যাবে।
আর এরপরেই বাংলায় মতুয়াদের মধ্যে তৈরি হয়েছে উচ্ছ্বাস, অন্যদিকে নয়া এই আইন ঘিরে আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। যদিও আশঙ্কার কিছু নেই। দেশের কোনও মানুষের নাগরিকত্ব (CAA) যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক।
রাত ১০ টার মধ্যে সিএএ (CAA) নোটিফিকেশন জারির কথা ছিল। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যাতেই এই সংক্রান্ত আইন কার্যকর করে বিজ্ঞপ্তি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে দেওয়া হয়েছে। যেখানে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে গোটা প্রক্রিয়া অনলাইনের মাধ্যমে করা হবে।
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক জানান, মানুষের কল্যাণের কথা ভেবেই নাগরিকত্ব আইন অর্থাৎ CAA কার্যকর করা হয়েছে। অসংখ্য মানুষ রয়েছেন যারা ধর্মীয় সহ বিভিন্ন ভাবে প্রতারিত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেকের জন্য এই আইন অন্তত ফলপ্রসূ হবে বলে মন্তব্য করেছেন নিশীথ প্রামাণিক।
শুধু তাই নয়, এই আইন মানুষকে নাগরিকত্ব (CAA) দেওয়ার আইন। অন ক্যামেরা বলছি, এই আইনে কোনও মানুষের নাগরিকত্ব যাবে না। আর তা আমি নিশ্চিত করে দেশের মানুষকে বলতে চাই বলেও দাবি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর। যদিও এই আইন বাংলায় কার্যকর হবে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। সিএএ (CAA) বাংলায় কার্যকর হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি আজ সোমবারও এই ইস্যুতে কেন্দ্রকে কড়া বার্তা দেন।
বলেন, গত চার বছর আগে পাস হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA)। আজ লাগু করছে। ভোটের মুখে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এখনও নোটিফিকেশন হাতে আসেনি।
যদি কোনো বৈষম্য হয় আমরা মানবো না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, মাত্র দুদিনে কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া যায় না। এটা কি তাহলে আধার বাতিলের চক্রান্ত। যারা ইতিমধ্যে নাগরিক তারা বঞ্চিত হবেন না তো? নতুন করে চিন্তা করতে হচ্ছে। যদি নাগরিকত্ব বাতিল হয় প্রতিবাদ করব। কাউকে ডিটেন্সন ক্যাম্পে পাঠাতে দেব না, হুঁশিয়ারি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের। তবে মানুষকে ভুল মুখ্যমন্ত্রী বওঝাচ্ছেন বলে দাবি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের।