বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস।

 

বেশ কয়েকটি আসনে বদলানো হলো প্রার্থী। ফলে বিদায়ী অনেক সাংসদই টিকিট পেলেন না। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় একঝাঁক নতুন মুখ।

লোকসভা নির্বাচনে যাঁদের টিকিট দিতে পারলেন না তাঁদের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করার আশ্বাস দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নজিরবিহীনভাবে তিনি র‍্যাম্পে হাঁটলেন দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে। বাংলায় ইন্ডিয়া জোট ভেস্তে গেল। মমতা বলেন, বাংলা, অসমে আমরা একাই লড়ব।

নুসরত জাহান থেকে মিমি চক্রবর্তী, অর্জুন সিং, অপরূপা পোদ্দার, সুনীল কুমার মণ্ডল-সহ অনেক হেভিওয়েটই টিকিট পাননি। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দাঁড় করানো হলো হুগলিতে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। বহরমপুরের বড় চমক ইউসুফ পাঠান। নবীন ও প্রবীণে সামঞ্জস্য রেখেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হলো। নাম ঘোষণা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর নাম ঘোষণা করলেন অরূপ বিশ্বাস।

তালিকায় নাম রয়েছে রাজ্যসভার সাংসদ থেকে শুরু করে রাজ্যের মন্ত্রী, বিধায়কদেরও। একনজরে দেখে নেওয়া যাক প্রার্থী তালিকা:

কোচবিহার: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন পরেশচন্দ্র অধিকারী, এবার জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া
আলিপুরদুয়ার: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন দশরথ তিরকে, এবার প্রকাশ চিক বরাইক।
জলপাইগুড়ি: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন বিজয়চন্দ্র বর্মন, এবার নির্মলচন্দ্র রায়।
দার্জিলিং: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন অমর সিং রাই, এবার গোপাল লামা।
রায়গঞ্জ: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন কানাইয়ালাল আগরওয়াল, এবার কৃষ্ণ কল্যাণী।
বালুরঘাট: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন অর্পিতা ঘোষ, এবার বিপ্লব মিত্র।
মালদহ উত্তর: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন মৌসম বেনজির নূর, এবার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।
মালদহ দক্ষিণ: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন ড. মোয়াজ্জেম হোসেন, এবার শাহনওয়াজ আলি রেইহান।
জঙ্গিপুর: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন খলিলুর রহমান, এবার খলিলুর রহমান।
বহরমপুর: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন অপূর্ব সরকার, এবার ইউসুফ পাঠান।
মুর্শিদাবাদ: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন আবু তাহের খান, এবার আবু তাহের খান।

কৃষ্ণনগর: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন মহুয়া মৈত্র, এবার মহুয়া মৈত্র।
রানাঘাট: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন রূপালি বিশ্বাস, এবার মুকুটমণি অধিকারী।
বনগাঁ: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন মমতাবালা ঠাকুর, এবার বিশ্বজিৎ দাস।
ব্যারাকপুর: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী, এবার পার্থ ভৌমিক।
দমদম: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন সৌগত রায়, এবারও তিনিই প্রার্থী।
বারাসত: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন ডা. কাকলি ঘোষ দস্তিদার, এবার ড. কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
বসিরহাট: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন নুসরত জাহান, এবার হাজি নুরুল ইসলাম।
জয়নগর: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন প্রতিমা মণ্ডল, এবারও তিনিই প্রার্থী।
মথুরাপুর: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন চৌধুরী মোহন জাটুয়া, এবার বাপি হালদার।

ডায়মন্ডহারবার: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, এবারও তিনিই প্রার্থী।
যাদবপুর: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন মিমি চক্রবর্তী, এবার সায়নী ঘোষ।
কলকাতা দক্ষিণ: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন মালা রায়, এবারও তিনিই প্রার্থী।
কলকাতা উত্তর: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, এবারও তিনিই প্রার্থী।
হাওড়া: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, এবারও তিনিই প্রার্থী।
উলুবেড়িয়া: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন সাজদা আহমেদ, এবারও তিনিই প্রার্থী।
শ্রীরামপুর: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, এবারও তিনিই প্রার্থী।
হুগলি: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন ডা. রত্না দে নাগ, এবার রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরামবাগ: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন অপরূপা পোদ্দার, এবার মিতালি বাগ।
তমলুক: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন দিব্যেন্দু অধিকারী, এবার দেবাংশু ভট্টাচার্য।
কাঁথি: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন শিশির অধিকারী, এবার উত্তম বারিক।
ঘাটাল: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন দীপক অধিকারী (দেব), এবারও তিনিই প্রার্থী।
ঝাড়গ্রাম: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন বীরবাহা সোরেন, এবার কালীপদ সোরেন।
মেদিনীপুর: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন মানস ভুঁইয়া, এবার জুন মালিয়া।
পুরুলিয়া: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন মৃগাঙ্ক মাহাত, এবার শান্তিরাম মাহাত।
বাঁকুড়া: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, এবার অরূপ চক্রবর্তী।

বিষ্ণুপুর: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন শ্যামল সাঁতরা, এবার সুজাতা খাঁ।
বর্ধমান পূর্ব: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন সুনীল কুমার মণ্ডল, এবার ডা. শর্মিলা সরকার।
বর্ধমান-দুর্গাপুর: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন মমতাজ সংঘমিতা, এবার কীর্তি আজাদ।
আসানসোল: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন শ্রীমতী দেব বর্মা (মুনমুন সেন), এবার শত্রুঘ্ন সিনহা।
বোলপুর: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন অসিত কুমার মাল, এবারও তিনিই প্রার্থী।
বীরভূম: ২০১৯ সালে প্রার্থী ছিলেন শতাব্দী রায়, এবারও তিনিই প্রার্থী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *