বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:রবিবার বঙ্গ রাজনীতির সুপার সাডনে।ব্রিগেড থেকে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিলেন তৃণমূল।

 

ব্রিগেডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই যার বৃক্তব্যের দিকে সকলে নজর ছি‌ল, তিনি হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সভা থেকেই কেন্দ্রের বিজেপি বিরোধিতার সুর চড়ালেন। সেই সঙ্গে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

নাম না করেল অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে অভিষেক বলেন, ‘আমি বিচারপতি নিয়ে কিছু বলব না। আগে চুরি করলে বা খুন করলে বিচারপতিরা জেলে পাঠালেন, আজ মোদীজির ভারতে চোরেরা, খুনিরা বিচারপতিদের উত্তরীয় পরিয়ে দলে স্বাগত জানাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে জবাব দিন।”।

ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে আক্রমণ করলেও কিছুটা সংযত থাকলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম করলেন না অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তবে নিজের মনের কথাটা ব্রিগেডের ভরা মঞ্চ থেকেই বলে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিচারপতি থাকাকালীনই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃক্ততা শুরু হয়। নিয়োগ দুনীর্তিসহ একাধিক ইস্যুতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বার বার নিশানা করতেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিচারপতি থাকায় কখনই নাম করতেন না অভিষেক। কিন্তু বিচারপতির আসন ছেড়ে এবার বিজেপিতে যোগদান করেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফলে রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন।
মঙ্গলবার হাই কোর্টে গিয়ে জিপিও মারফত দেশের রাষ্ট্রপতিকে বিচারপতি পদ থেকে তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছিলেন অভিজিৎ। তার পরে সল্টলেকের বাড়িতে ফিরে দীর্ঘ এবং একক সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সেখানে অভিষেকের নাম না করে ‘তালপাতার সেপাই’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অভিষেক লেখেন, ”একেই বলে ১৮০ ডিগ্রি ইউটার্ন। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া একজন বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে তারই হাত ধরে যার সিবিআই এফআইআর-এ নাম আছে! বিচারব্যবস্থার একাংশের সঙ্গে বিজেপি মধুর সম্পর্কের প্রমাণ এই ছবিটাই।” ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে ফের নিশানা করলেন তিনি।

শুধু অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নয় একই সঙ্গে শুভেন্দুকেও নিশানা করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, “বাংলাকে গালি দেওয়ায় কাউকে বিরোধী দলনেতা করা হয়েছে, কাউকে বিধায়ক থেকে সাংসদ পদে উন্নীত করা হয়েছে। একজন অভিনেতা বিভিন্নভাবে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন তাঁর কাজের মধ্যে, তাঁকে আসানসোলের প্রার্থী করা হয়েছিল বিজেপির তরফে। পরে তিনি নিজেই বলেছেন, প্রার্থী হব না। এটাই বাংলার ক্ষমতা, বাংলার শক্তি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *