বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: এবার লক্ষীর ভাণ্ডারের টাকা অপরিচিত অজ্ঞাত এক নারায়ণের ঘটে, আর তাই নিয়েই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব বিজেপি।


উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে কথাটা প্রচলিত। তবে এবার লক্ষী ভান্ডারের টাকা ঢুকছে নারায়ণের ঘটে, তাও আবার বাড়ির নারায়ন হলে হয়, গ্রাম পেরিয়ে শহরের এক অজানা অচেনা বিশ্বজিৎ বিশ্বাস নামে শান্তিপুর শহরে বসবাসকারী এক ব্যক্তির এক্সিস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে। অথচ বছর খানেক আগে বাবলা পঞ্চায়েত দুয়ারে সরকারে লক্ষীর ভান্ডারের জন্য শান্তিপুর ব্লকের বাবলা পঞ্চায়েতে কন্দখোলা গ্রামের গৃহবধূ রিম্পা দাস মজুমদারের স্টেট ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নাম্বার দিয়েছিলেন। তার নামে সরকারি এই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প মঞ্জুর হলেও দীর্ঘ ১১ মাস ধরে প্রথম দশ মাস ৫০০ টাকা করে পরবর্তীতে এক মাসে এক হাজার টাকা ঢুকেছে অর্থাৎ মোট ৬ হাজার টাকা ওই অপরিচিত বিশ্বাস বিশ্বাস নামে এক এক ব্যক্তির একাউন্টে।
রিম্পা দেবীর অভিযোগ কোন একটি মহিলার একাউন্টে ঢুকে গেলেও নয় ভুল ভ্রান্তি বলে মানা যায়, কিন্তু সরকারি দপ্তরে হাজার হাজার মহিলা একাউন্টের মধ্যে এ ধরনের পুরুষ নাম মিললে বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যাওয়ার কথা । তাহলে কি এ ধরনের আরো অনেক পুরুষের নামের অ্যাকাউন্টে আমার মতন লক্ষী ভান্ডার না ঢোকা মহিলাদের টাকা ঢুকেছে সেখানে! বিষয়টি নিয়ে তিনি এবার বিডিও সহ উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দারস্ত হতে চলেছেন। কারণ এর আগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাকে শুধু সান্ত্বনাই দিয়েছেন লক্ষী ভান্ডার পাওয়ার বিষয়ে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই টাকা পাঠাচ্ছেন আর সে টাকা যদি পুরুষ কোনো উপভোক্তা পান, সেটা নিশ্চয়ই তিনিও চাইবেন না। তবে রিম্পা দাস মজুমদারের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে এই ভাতা না মেলায় তিনি দু দুবার কাগজ জমা করেছেন দুয়ারে সরকারে। গতকাল অধৈর্য হয়েই মূলত একটি সাইবার ক্যাফে তে গিয়ে চক্ষু চড়ক গাছ ! লক্ষ্য করেন বেনিফিশিয়ারি হিসাবে তার নাম ঠিকানা সব ঠিকঠাক থাকলেও অ্যাকাউন্ট নাম্বার রয়েছে অ্যাক্সিস ব্যাংকের অজ্ঞাত পরিচিত শান্তিপুর নিবাসী বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *