বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ফের অ্যাকশন মুডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)! উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তল্লাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। শহর এবং শহরতলির একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলছে বলে জানা গিয়েছে। যার মধ্যে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এক প্রাক্তন পার্শ্বশিক্ষকের বাড়িতেও তল্লাশি চলছে বলে জানা গিয়েছে।

একই সঙ্গে এক চাটার্ড অ্যাকাউটেন্টের বাড়িতেও আজ শুক্রবার সকালে ইডির আধিকারিকরা পৌঁছে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যা খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন ওই পার্শ্বশিক্ষকের বাড়ি রাজারহাটের পাথরঘাটায়। তাঁর নাম আব্দুল আমিন বলে জানা গিয়েছে।

পাঁচ সদস্যের ইডির একটি টিম একেবারে সকালেই তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান বলে জানা গিয়েছে। গোটা এলাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানদের দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে বলে খবর। যাতে কোনও অশান্তি না ঘটে সেজন্য অনেক বেশি সতর্ক বাহিনীর জওয়ানরা। অন্যদিকে দমদম নাগেরবাজারেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে ইডির তরফে।

সেখানে এক চাটার্ড অ্যাকাউটেন্টের বাড়িতে চলছে ওই তল্লাশি। উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ওই চাটার্ড অ্যাকাউন্টের বড় ভূমিকা রয়েছে। এমনটাই তথ্য তদন্তে উঠে এসেছে বলে খবর। আর এরপরেইও এদিন সকালে ওই ব্যাক্তির বাড়িতে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, দমদম নাগেরবাজার এলাকায় একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে ওই চাটার্ড অ্যাকাউটেন্টের। প্রত্যেকটি ফ্ল্যটে ইডি আধিকারিকরা একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে রাজারহাটের কাশিনাথপুরে চন্দন চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির বাড়িতেও ইডি আধিকারিকরা পৌঁছেছেন বলে খবর।

গত কয়েকদিন আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়কে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁকে জেরা করেই সম্ভবত চন্দনের নাম পান আধিকারিকরা। আর এরপরেই এদিন ওই ব্যক্তির বাড়িতে ইডি তল্লাশি চালাচ্ছেন বলে খবর। পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি জায়গাতেও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি চালাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।
নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে বলেই খবর। বলে রাখা প্রয়োজন, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় দুই তদন্তকারী সংস্থা, সিবিআই এবং ইডি।

যদিও বর্তমানে বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরেই তাঁর নির্দেশ পক্ষপাতদূষ্ট বলে অভিযোগ সামনে আসছে। এমনকি তা খারিজের দাবিও জানানো হয়েছে। আর এই বিতর্কের মধ্যেই সপ্তাহের শেষে উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অ্যাকশনম মুডে ইডি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *