বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে এবার সরতে হচ্ছে। সূত্রের খবর সোমবারই তিনি পদত্যাগ করছেন লিবারেল পার্টির প্রধান পদ থেকে। ঘরে ও বাইরে তার উপর প্রবল চাপ।
খালিস্তানপন্থীদের সমর্থন করতে গিয়ে চূড়ান্তভাবে ভারতের বিরোধিতা শুরু করেন। এতেই ক্ষুব্ধ তার দল ও বিরোধী দল। দলের প্রধানের পদ থেকে সরলেও এখনই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বুধবার শাসক গোষ্ঠীর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেই বৈঠকের আগেই নাকি লিবারেল পার্টির প্রধান পদ থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন জাস্টিন ট্রুডো। বিগত দিনে তাঁর মন্ত্রিসভার অনেকেই পদত্যাগ করেছেন। দলের অনেক সাংসদই ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছিলেন। সবটা মিলিয়ে যথেষ্ট সংকটে কানাডার রাজনীতি।
সাম্প্রতিক একাধিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ট্রুডোর জনসমর্থন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই আবহে সংখ্যালঘু সরকার চালাচ্ছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে লিবারেল পার্টির প্রধান হয়েছিলেন ট্রুডো। সেই সময় তাঁর দলের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। কানাডার সংসদে প্রথমবারের মতো লিবারেল পার্টি তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছিল। সেখান থেকে ২০১৫ সালে ট্রুডোর নেতৃত্বে ক্ষমতায় এসেছিল লিবারেল পার্টি। ট্রু়ডো কানাডার ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর থেকে টানা প্রায় এক দশক তিনি গদিতে আছেন। তবে ক্রমেই তাঁর জনপ্রিয়তা কমেছে। এই আবহে আসন্ন নির্বাচনে তাঁর দলের হার প্রায় নিশ্চিত বলেই দাবি করা হচ্ছে বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায়। এর কয়েকদিন আগেই আর্থিক ঘাটতি দেখা দেয় কানাডায়। এই আবহে অর্থমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেন ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে এই ক্রিস্টিয়াই ছিলেন ট্রুডোর ডেপুটি। সেই পদ থেকেও পদত্যাগ করেন ক্রিস্টিয়া। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কানাডার ও ট্রাডোর ভবিষ্যৎ কো দিকে যায়!