বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার ভাষা-সংস্কৃতি প্রায় এক রকম। ত্রিপুরার প্রাচীন একাধিক আদিবাসী গোষ্ঠীকে বাদ দিলে অধিকাংশই বাঙালি ওখানে বসবাস করেন। ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলার একটা আলাদা যোগ রয়েছে।

 

ভারতে বাংলা ছাড়া ত্রিপুরাতেও বাংলা ভাষা বলা হয়। কিছু আঞ্চলিক বদল ছাড়া মোটের উপর দুই রাজ্যের ভাষাই এক। সেকারণে ত্রিপুরার সঙ্গে বাঙালিদের একটা আলাদা যোগ রয়েছে। সংস্কৃতির দিক দিয়েও ত্রিপুরার যোগ রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিসর্জন উপন্যাস লিখেছিলেন ত্রিপুরা রাজবাড়ি থেকে প্রভাবিত হয়ে। বাংলার দুই জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পা এবং সুরকার শচীন দেব বর্মন ও রাহুল দেব বর্মন ছিলেন ত্রিপুরা রাজ পরিবারের সদস্য। অনেকেই হয়তো জানেন না কলকাতাতেও রয়েছে একটি মিনি ত্রিপুরা।

দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াতে রয়েছে মা ত্রিপুরা সুন্দরীর মন্দির। বহু প্রাচীন এই মন্দির। অনেকেই চেনেন না সেটি। একেবারে শান্ত-নিরিিবলি এবং পরিচ্ছন্ন মন্দির প্রাঙ্গনটি। এখানে বসে থাকলেই মন ভাল হয়ে যাবে। ত্রিপুরায় মা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির রয়েছে। যেটি ৫১ সতীপীঠের মধ্যে একটি। কলকাতাতেও রয়েছে সেই ত্রিপুরেশ্বরী মাতার মন্দির। ৭০০ থেকে ৮০০ বছরের প্রাচীন মন্দির। মন্দির প্রাঙ্গনে খনন করে একািধক ঐতিহাসিক জিনিস পাওয়া গিয়েছে। প্রথমে মাটির মূর্তি ছিল। তারপরে অষ্টধাতুর মূর্তি তৈরি করে সেটি স্থাপন করা হয়। দশমহাবিদ্যার তৃতীয় বিদ্যা হলে ত্রিপুরা সুন্দরী। স্বর্গ-মর্ত-পাতাল তিন জায়গার কর্তৃ তিনি।

যাওয়া – কবি নজরুল মেট্রো স্টেশনে নেমে। রাস্তা পার হয়ে উল্টো দিকে বোরাল যাওয়ার অটো ধরতে হবে। বোরাল হাইস্কুলের পাশেই রয়েছে মা ত্রিপুরেশ্বরীর মন্দির। অটোতে যেতে ভাড়া নেবে ১০ টাকা। অর্থাৎ একেবারেই কম খরচে ত্রিপুরা ভ্রমণ। এখানে পুজো দেওয়ার সব ব্যবস্থা রয়েেছ। মন্দির প্রাঙ্গনটি অসম্ভব সুন্দর। ত্রিপুর সুন্দরী মন্দিরের পাশে রয়েছে শিব মন্দির। মন্দিরের পিছনেই রয়েছে সেন দিঘি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *