বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: একথা একদম ঠিক যে ‘কন্যাশ্রী’, ‘সবুজ সাথী’ ইত্যাদির ক্রেডিট যদি রাজ্য সরকারকে নিতে হয়, তাহলে শিক্ষণ নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা ও স্কুলছুটের দায় রাজ্য সরকারকেই নিতে হবে।

 

এবার সামনে আসলো স্কুলছুটের ভয়ঙ্কর দৃশ্য – যা রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশকেও হার মানায়। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, নবম থেকে দশম শ্রেণীতে স্কুলছুট ১২ শতাংশ। যদিও স্কুল শিক্ষকরা বলছেন এই সংখ্যা আরও বেশি। বাংলার থেকে কম ড্রপ আউট উত্তর প্রদেশ, রাজস্থানেও। রাজ্যে ৬ হাজারেরও বেশি স্কুল চলছে, মাত্র এক জন শিক্ষকের ভরসায়। বন্ধ হওয়ার মুখে কয়েক হাজারেরও বেশি স্কুল। কিন্তু কেন এই করুন অবস্থা? এই নিয়ে বিশেষজ্ঞরা তাঁদের মতামত জানিয়েছেন।

প্রশ্ন উঠেছে, যারা স্কুল ছাড়ছে, তারা যাচ্ছে কোথায়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা স্কুল ছাড়ছে, সকলেই কাজের তাগিদে শিশু শ্রমিক হয়ে যাচ্ছে। কেউ বা পাড়ি দিচ্ছে ভিন রাজ্যে। তাহলে স্কুল ছাড়ার পিছনে অন্যতম কারণ দারিদ্র ও বেকারি।

এছাড়াও স্কুলছুটের পিছনে আছে আরও কিছু কারণ। যেমন – অষ্টম শ্রেণির পর্যন্ত পাশ-ফেল নেই। একজন পড়ুয়া যখনই শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে ঢোকে, ক্লাস এইট পর্যন্ত উত্তীর্ণ হয়ে চলে যাবে। নবম শ্রেণি থেকে উঠে যাচ্ছে মিড ডে মিল। পড়াশোনার জন্য বাড়ি থেকেও একটা মোটামুটি অঙ্কের খরচ হয়। সেটা পরিবার চালাতে পারছে না। নবম দশম শ্রেণিতে মিড ডে মিল দেওয়া হয় না, এটা ঠিক। কিন্তু ট্যাবের টাকা দেওয়া হয়, সবুজ সাথীর সাইকেল দেওয়া হয়। শিক্ষক নিয়োগ না হলে সমস্যা বাড়ছে স্কুলগুলোতে। যেখানে প্রতি বছর শিক্ষক নিয়োগ হত, সেটাই ফিরিয়ে আনতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্কুলে যদি শিক্ষকই না থাকে, তাহলে পড়ুয়ারা কেন যাবে? তাছাড়া সরকারি স্কুলগুলোতে শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশ ঠিক মতো ক্লাস নেন না। এটাও একটা কারণ। বহু স্কুলে এখনও নেই ভালো পানীয় জল বা ভালো বাথরুম। এই সব কারণ মিলিয়েই বাংলায় বেড়ে চলেছে স্কুলছুট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *