বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: প্রায় সকলের অলক্ষে দক্ষিণ এশিয়ার মিয়ানমারে গত চার বছর ধরেই চলেছে গৃহযুদ্ধ। এই মুহূর্তে পরিস্থিতি যথেষ্ট অগ্নিগর্ভ।

 

সশস্ত্র জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর কাছে নতুন নতুন ভূখণ্ড হারিয়ে কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছে তাঁর সরকার। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ২০২৪ সালে দেশের একের পর এক ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। গত ৮ ডিসেম্বর রাখাইন রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর মংডুর নিয়ন্ত্রণ হারায় জান্তা বাহিনী। এলাকা চলে যাচ্ছে বিদ্রোহীদের হাতে। এর মধ্য দিয়ে মিয়ানমার–বাংলাদেশ ২৭০ কিলোমিটার সীমান্তের পুরোটারই নিয়ন্ত্রণে নেয় বিদ্রোহীরা। এরপর ২০ ডিসেম্বর রাখাইন রাজ্যের আঞ্চলিক সেনা সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করে রাজ্যটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। উদ্বেগ বাড়ছে বাংলাদেশের। সেখানে বেড়ে চলেছে অনুপ্রবেশ।

ক্রমাগত এলাকা হারিয়ে কোনঠাসা সরকার। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ড রয়েছে ১৪টি। এসব কমান্ডের অধীনে নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলে সামরিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এর আগে গত আগস্টে চীন সীমান্তবর্তী শান রাজ্যের রাজধানী লাশিওতে অবস্থিত উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেয় সেই রাজ্যের বিদ্রোহীরা। এটি ছিল বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে যাওয়া প্রথম কোনো আঞ্চলিক সেনা কমান্ড। মিয়ানমারে জান্তা–বিদ্রোহী লড়াইয়ের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র চিন রাজ্য। রাজ্যটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী চিন ব্রাদারহুড গত ২১ ডিসেম্বর দাবি করে, চিন রাজ্য সামরিক জান্তার হাত থেকে ‘মুক্ত’ করেছে তারা। এখন সরকার তাকিয়ে অন্যান্য রাষ্ট্রের দিকে। তারা যদি সাহায্যের হাত না বাড়ায় তাহলে আর কিছুদিনের মধ্যেই মিয়ানমার চলে যাবে বিদ্রোহীদের দেখলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *