বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতনের পরে বাংলাদেশে চলেছে এক অরাজক অবস্থা। বিদেশ থেকে ডেকে এনে মহম্মদ ইউনুসকে চেয়ারে বসালে কি হবে, তিনি ব্যর্থ প্রায় সব দিক থেকে।
আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে অর্থনীতি, কার্যত সবটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে সে দেশে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রত্যেক দিনই কার্যত একের পর এক খুন-ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে। একই ভাবে বাড়ছে বেকারত্বে জ্বালাও। গত কয়েক মাসে একের পর এক কারখানা বাংলাদেশে বন্ধ হয়েছে। বাংলাদেশে বস্ত্র শিল্পের কথা গোটা বিশ্বই জানে! বহু গ্লোবাল সংস্থা সে দেশের মাটিতে কাপড়-জামা কিংবা প্যান্ট তৈরি করায়। এবং তা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু গত কয়েক মাসে বাংলাদেশের বস্ত্র শিল্প তলানিতে এসে ঠেকেছে।
কথায় আছে, পেটে ভাত না থাকলে বিপ্লব জানলা দিয়ে পালিয়ে যায়। বাংলাদেশের অবস্থা প্রায় তাই। শুধু রাজনৈতিক পরিস্থিতি নয়, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লাগাতার শ্রমিক অসন্তোষ, জ্বালানি সংকটসহ নানাবিধ চ্যালেঞ্জ। আর সেই কারনে বহু গ্লোবাল এবং দেশীয় সংস্থা এই শিল্প থেকে নিজেদের নজর ঘোরাতে শুরু করেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক এবং রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) জানিয়েছে, গত ছয় মাসে ১০০টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশে। যার ফলে বেকার হয়েছেন প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার শ্রমিক। শুধু তাই নয়, শতাধিকেরও বেশি এমন কারখানা আছে যারা দিনের পর দিন শ্রমিকদের বেতন দিচ্ছে না। কার্যত টাকা ছাড়াই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন শ্রমিকরা। তৈরী হয়েছে এক গভীর সংকট। এই অবস্থায় বহু সংস্থা যে ভারতের দিকে ঝুঁকছে তাও কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন বহু কারখানার মালিক। একই দাবি করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক এবং রফতানিকারক সমিতি’র প্রধান মহিউদ্দিন রুবেলও। তাঁর কথায়, ছোট এবং মাঝারি কারখানাগুলি সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে। শ্রমিক অসন্তোষ দিনে দিনে বাড়ছে।