বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: আজ সকাল দশটায় হুগলী চুঁচুড়া পৌরসভায় উপস্থিত হন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। তার উপস্থিতির পরপরই পৌরসভায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। অস্থায়ী কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের বকেয়া বেতন এবং পৌরসভার আর্থিক সংকট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।
দীর্ঘদিন ধরে চুঁচুড়া পৌরসভার প্রায় দীর্ঘ কুড়ি দিনের অস্থায়ী কর্মচারী বকেয়া বেতন নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এবং সুধার দায়িত্বপ্রাপ্ত জলি চৌধুরীর হস্তক্ষেপে প্রায় ৩ কোটি টাকার লোন মঞ্জুর করা হয়েছে। এই অর্থ দিয়ে অবশেষে কর্মচারীদের দু’মাসের বেতন মিটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিধায়ক অসিত মজুমদার এদিন পৌরসভায় উপস্থিত হয়ে সমস্ত দপ্তরে পরিদর্শন করেন। অর্থ দপ্তর, স্বাস্থ্য দপ্তরসহ অন্যান্য দপ্তর পরিদর্শন করে কর্মচারীদের সময়মতো হাজিরা এবং সঠিক পরিষেবা প্রদানের ওপর জোর দেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিধায়ক জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই লোন মঞ্জুর করা হয়েছে এবং পৌরসভাকে যথাসময়ে বকেয়া বেতন মিটিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পৌরসভা প্রায় ৬ কোটি টাকার ঘাটতিতে চলছে। এই আর্থিক সংকটের সমাধানে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
বিধায়ক পৌরসভা ছাড়ার পর পৌরপ্রধান অমিত রায় তার মন্তব্যের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, “পৌরসভা একটি স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। বিধায়ক আমাদের অভ্যন্তরীণ কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারেন না।” এই বক্তব্যের পরই পৌরসভার অভ্যন্তরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
পৌরপ্রধান এবং স্বাস্থ্য সিআইসি জয়দেব অধিকারীর মধ্যে চরম বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। সঠিক সময়ে হাজিরা এবং স্বাক্ষর সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে তীব্র তর্ক হয়, যা রীতিমতো অশান্তির রূপ নেয়।
এই ঘটনার ফলে চুঁচুড়া পৌরসভার অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা আরও প্রকট হয়েছে। অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন সমস্যার সমাধান হলেও পৌরসভার আর্থিক সংকট এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের মধ্যে বিরোধ ভবিষ্যতে পরিষেবা প্রদানে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষ এবং কর্মচারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
পৌরসভার অভ্যন্তরীণ অশান্তি নিয়ে কারও পক্ষ থেকে স্পষ্ট মন্তব্য না আসায় পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে তা নিয়ে সকলের দৃষ্টি এখন ভবিষ্যতের দিকে।