বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: তিনি শিলিগুড়িতে থাকেন, এবং নেতাজি কেবিনের কর্ণধার। তার দোকান এখন পশ্চিমবাংলার মধ্যে অন্যতম সেরা চায়ের দোকান। তার দোকানেও বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খরিদ্দারেরা আছেন।

 

তাদের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষও আছেন চা খেতে। ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি হওয়ার পর থেকেই সেইসব বাংলাদেশের খরিদ্দার এরা আর আসছে না। প্রণব বাবু অবশ্য সপাটে জবাব দিলেন আগে দেশ। তারপরে সবকিছু। হ্যাঁ এটা সত্যি বাংলাদেশের সাথে আমাদের সবার একটা টান আছে। তা বলে দেশের পতাকাকে অপমান করবে আর আমরা সেটা মুখ বুজে সহ্য করব এটা কখনোই হতে পারে না। আমি ভারতবর্ষে জন্মেছি, বাংলার মানুষ আমি, তাই একজন ভারতীয় হিসাবে আমার দাবি এই চিন্তা আরো কঠোর হোক। আমার দেশকে কেউ অপমান করে যাবে, আর এটা আমি মুখ বুঝে সহ্য করব এটা হতে পারে না। প্রণব বাবু জানালেন, আবার আই এই দোকান বহু পুরন। বাংলাদেশের মানুষ আছেন, এবং আসেন আমার দোকানে। তাই আমি একেবারে চিন্তিত নই আমার দোকানে খরিদ্দার কমে যাওয়াতে। আবার বলছি সবার আগে দেশ, আমি একদিন না দুদিন না বছরের ৩৬৫ দিন দেশের জন্য সবকিছু করতে পারব। আমার দোকানে কেউ না আসলে আমার কোন অসুবিধা হবে না। আমার দেশ ভারত বর্ষ সবার আগে আমার কাছে। আমি গর্বিত আমি একজন ভারতবাসী, আমার পাশের দেশ আমাদের দেশের পতাকাকে পদলেহন করবে এটা কোনদিন হতে পারে না। শিলিগুড়িতে বহু বাংলাদেশি মানুষ আসেন, এবং থাকেন। তারা আমার দোকানে এসে চা ও খেয়ে যান। আমি একটুও মন খারাপ করে থাকবো না, যদি কোন বাংলাদেশী মানুষ আমার দোকানের না আসেন। ভারতবর্ষকে যারা অপমানিত করে, তাদের পাশে আমি নেই। আর অন্যান্য জায়গার মতো আমিও এটা মেনে বিশ্বাসী যে দেশ আমাকে এতোখানি দিয়েছে, সেই দেশের জন্য তো আমার এটা করতেই হবে। শিলিগুড়ি এমন একটা জায়গা যেখানে সারা বিশ্বের থেকে মানুষ আসেন। আমাদের দেশে তার আত্মীয়তা বজায় রাখেন। কিন্তু কেউ যদি সেই আতিথীয়কে তাকে অসম্মান করে তবে তাদের জন্য আমরা বিন্দুমাত্র সমব্যথী নই। আমি মনে করি যে মাটিতে আমি জন্মেছি, সেটাই আমার কাছে সেরা। এবং আমি চাই ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আবার ভালো জায়গায় চলে আসুক। আমরা আশাবাদী বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভুল বুঝে কাছে ক্ষমা চেয়ে, আবার নিজেদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক তৈরি করবেন। কিন্তু তার আগে কখনোই নয় জানালেন প্রণবেন্দু বাগচি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *