বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: হিন্দুদের প্রাচীনতম মন্দিরগুলোর মধ্যে ঢাকায় অবস্থিত এই ঢাকেশ্বরী মন্দিরটি অন্যতম। বাংলাদেশের জাতীয় মন্দির হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ঢাকার এই ঢাকেশ্বরী মন্দির।

 

এও বলা হয় দেবীর নাম অনুসারে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার নামকরণ করা হয়েছিল। শোনা গিয়েছে, সেন রাজবংশের রাজা বল্লাল সেন ঢাকায় এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই মন্দির নিয়ে নানা কথা প্রচলিত রয়েছে। কথিত আছে রাজা বিজয় সেনের স্ত্রী পুণ্যস্নানের জন্য লাঙ্গলবন্দে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে রানী ফেরার পথে জঙ্গলে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তিনি বল্লাল সেন। পরবর্তীতে বল্লাল সেন যখন নিজের জন্মস্থানকে মহিমান্বিত স্থান বলে উল্লেখ করতে চেয়েছিলেন, তাই সেখানে মন্দির স্থাপন করেছিলেন। আবার এও কথিত আছে যে, বল্লাল সেন একবার স্বপ্ন দেখেছিলেন যে, জঙ্গলের নীচে একটি দেবীর মূর্তি ঢাকা রয়েছে পাতায়। তাকে মন্দির স্থাপন করে নিত্য পুজোর আয়োজন করতে বলেন। ঘটনা যাই হোক বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন একটি হিন্দু মন্দির ঢাকায় অবস্থিত।

১৯৯৬ সালে ঢাকেশ্বরী মন্দিরকে বাংলাদেশের জাতীয় মন্দির হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ঢাকা শহরের পলাশী ব্যারাক এলাকায় অবস্থিত দেবী দুর্গার এই মন্দির। অরফানেজ রোড, চকবাজারে রয়েছে ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দির। দেবীর ভক্তরা যতদিন এই মন্দিরে যাবেন, তিনি যেন ততদিনই বিরাজমান থাকবেন। মন্দিরের ভেতরের প্রবেশ করার পরই পড়ে একটি দূর্গমন্ডপ। মূল মন্দিরের চত্বরে রয়েছে একটি শিবমন্দির। সেখানে শ্বেত শিবলিঙ্গ রয়েছে। এ ছাড়াও এক জায়গায় পরপর চারটি শিব মন্দির। অপর এক প্রবাদ অনুযায়ী দেবী সতীর দেহের ৫১টি খণ্ড যে সব জায়গায় পড়েছিল, সেগুলি পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী সতীর মুকুটের মণি ওই ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জায়গায় পড়েছিল। মন্দিরে রয়েছে দেবীর অষ্টধাতুর মূর্তি। বাংলাদেশ সরকারের তত্ত্বাবধানে এই মন্দির পরিচালিত হয়। দেবীকক্ষের বাঁমদিকে মহাদেবের মূর্তি রয়েছে। ডানদিকে নারায়ণের বিগ্রহ। পাশে শিবলিঙ্গ ও সন্তোষী মাতার বিগ্রহ। মন্দিরের দেওয়ালে হনুমান ও শ্রীরামচন্দ্রর ছবি খোদাই রয়েছে। মূল মন্দিরের সামনে রয়েছে বিশাল বড় নাটমন্দির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *