বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: প্রচারের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। মানুষের কাছে পৌঁছে উন্নয়নের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া আসল লক্ষ্য। বিজেপি নেতৃত্বের কাছে এই কেন্দ্র অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এদিকে তৃণমূলের কাছে যেন সম্মানের লড়াই। কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে বরাবর উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে নজর থাকছে।

এবারও বিজেপির পক্ষ থেকে নিশীথ প্রামাণিককে প্রার্থী করা হয়েছে। তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ডেপুটি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বিগত দিনগুলিতে তিনি সামনে এসেছেন। সেই নিশীথ প্রামাণিক আরও একবার ভোটের ময়দানে নামছেন।

ইতিমধ্যে ঘোষণা হয়েছে প্রার্থী হিসেবে তার নাম। সোমবার দিল্লি থেকে বিশেষ চাটার্ড বিমানে হাসিমারা পৌঁছান নিশীথ। সেখান থেকে কোচবিহারে এসে পৌঁছলেন কোচবিহারের বিজেপির লোকসভার প্রার্থী তথা দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। পথে বিভিন্ন জায়গায় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করেন। সন্ধ্যার পর কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে পুজো দেন। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মানুষ সঙ্গে আছে। এবারও মানুষের আশীর্বাদে জয়যুক্ত হয়ে সোনার বাংলা গড়া হবে।

কিন্তু যতই গেরুয়া বাহিনী জয়ের কথা বলুক না কেন। পরিস্থিতি কতটা সেদিকে থাকবে, প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এই কেন্দ্রে বিজেপির ঘাড়ের উপরেই নিঃশ্বাস ফেলছে। গত লোকসভা নির্বাচনে আগে নিশীথ প্রামাণিক তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছিলেন। দেড় লক্ষ ভোটের ব্যবধানে তিনি জয়লাভ করেন। বিজেপির অন্যতম তুরুপের তাস এই নিশীথ প্রামাণিক। সেই কথা বলতেই হয়।

গত বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি প্রার্থী করে তাঁকে। তিনি বিশাল ভোটের ব্যবধানে তৃণমূলকে হারিয়ে দেন দিনহাটা কেন্দ্রে। কিন্তু তারপরেই ইস্তফা দিয়েছিলেন। উপ নির্বাচন হয় ওই কেন্দ্রে। এবার বিপুল ভোটের ব্যবধানে উদয়ন গুহ জয়লাভ করেন ওই কেন্দ্র থেকেই। অর্থাৎ ভোটের হাওয়া কয়েক মাসের ব্যবধানে উল্টে যায়।
গত পাঁচ বছর ধরে নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে প্রচারের ময়দানে রয়েছেন উদয়ন গুহ। তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁকে হারাতে বদ্ধপরিকর। তৃণমূল এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি। তবে নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে হেভিওয়েট মুখ দল দেবে। একথা পরিষ্কার। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি লোকসভা কেন্দ্রে চাপে আছে।

ফলে এবার আরও বেশি লড়াইয়ের সামনে পড়বেন নিশীথ প্রামাণিক। সে কারণেই রোডম্যাপ করে ফেলছেন প্রচারের জন্য। নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়নের কথা প্রচার করবেন। একথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু তারপরেও প্রচার অবস্থান নিয়ে নজর থাকবে। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *