বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: এমন নজির বিহীন নির্দেশ দিলেন সুপ্রিম কোর্ট।আগামী ১৫ ডিসেম্বর কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে ভোটাভুটি। সমবায় দপ্তরকে এর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।

 

ভোটার তালিকা প্রকাশ থেকে ভোটের বিজ্ঞপ্তি-সবটাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করার নির্দেশ ছিল। সেইমতো সমবায় দপ্তর রিটার্নিং অফিসার এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে। লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনের নিরাপত্তায় বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়েই থাকে। তবে সমবায় নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। আশঙ্কা এখানে ব্যাপক গন্ডগোল হতে পারে। প্রসঙ্গত ৮ ডিসেম্বর নন্দীগ্রামে একটি সমবায় নির্বাচনে প্রাণ গেছে একজনের।

সমস্যা তৈরী হয় ভোট কেন্দ্র নির্বাচন ও পরে তা পরিবর্তন করাকে কেন্দ্র করে। কাঁথির তিনটি স্কুলে পাঁচটি বুথ করার কথা ভাবা হয়। তবে ওইদিন সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষা রয়েছে। ওই তিনটি স্কুল পরীক্ষাকেন্দ্র হওয়ায় নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। তার পরিবর্তে ওই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলি থেকে যথাক্রমে ৫০ মিটার, ১০০ মিটার, ৮০০ মিটার, ৩ কিলোমিটার ও ৭ কিলোমিটার দূরে পাঁচটি বুথ করা হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এগরার প্রাক্তন পুরপ্রধান শংকর বেরা। ভোটারদের অসুবিধা হবে বলেই আদালতে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয় সেদিন একটি সর্ব ভারতীয় পরীক্ষা থাকায় ভোট কেন্দ্র পরিবর্তন করতে হয়েছে।

আদালত সবার কথা শুনে পরে নির্দেশ দেন, ভোটের দিন যাতে কোনো গন্ডগোল না হয়, ভয় দেখানো না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে। আদালত জানায় – সমবায় নির্বাচন দপ্তরকে নতুন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য পরিবহণের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য ওই পাঁচটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তৃতীয়ত, প্রত্যেকটি বুথে সিসি ক্যামেরার বন্দোবস্তও করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *