বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ভগবান গোলার তৃণমূল বিধায়ক এবার সম্রাট বাবারের স্মরণে নতুন এক ‘বাবরি মসজিদ’ তৈরী করার বাসনা প্রকাশ করেছেন। ঠিক যখন বাংলাদেশে মন্দির ভাঙার কর্মকান্ড চলেছে, ঠিক তখনই বিধায়কের এই বাসনা স্বাভাবিক কারণেই বিতর্ক তৈরী করেছে।

 

ধৰ্মীয় ভাবাবেগকে রাজনৈতিক আঙিনায় আগেও হুমায়ুন কবীর টেনে এনেছেন। এবার একেবারে মসজিদ বানানোর কথা। এদিন তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানদের সংখ্যা ৩৪ শতাংশ। তাদের ধর্মীয় অনুভূতিকে সম্মান জানিয়ে এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমি এই প্রকল্প পেশ করছি। বেলডাঙা এলাকায় এবং বেহরামপুর অঞ্চলের মাদ্রাসা পরিচালকদের নিয়ে একটি বাবরি মসজিদ ট্রাস্ট গঠন করা হবে। এই ট্রাস্ট ২০২৫ সালের ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বেলডাঙার দুই একর জমিতে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করবে।” তিনি নিজে ওই মসজিতের জন্য এক কোটি টাকা দান করবে বলে জানান। তিনি ধৰ্মীয় ভাববেগকে একটু নাড়া দিয়ে বলেন,”বাংলার মুসলমানরা মাথা উঁচু করে বাঁচতে চায় এবং তাদের ধর্মীয় অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। সেই লক্ষ্যেই বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ নির্মাণ করা হবে।”

প্রশ্ন উঠেছে, যখন বাংলাদেশে মন্দির নিয়ে সংকট তৈরী হয়েছে, ঠিক তখন কেন তিনি মন্দির প্রসঙ্গ আনলেন। তিনি আরও বলেন, মুর্শিদাবাদে ৭০ শতাংশ মুসলিম – যা ভারতের অন্য কোনো জেলায় নেই। তাই নতুন বাবরি মসজিদ মুর্শিদাবাদেই হওয়া উচিত। তিনি বলেন, অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা এখনও দেশের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ভাবাবেগে আঘাত দেয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর রাম মন্দির তৈরি হয়ে গেলেও অযোধ্যা বা অন্য কোথাও মসজিদ তৈরি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ এখনও নেওয়া হয়নি। তাই তিনি উদ্যোগ নিয়ে বাংলার মাটিতে এই মসজিদ তৈরি করতে চান। হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, “অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় উত্তরপ্রদেশে মুসলিমদের সংখ্যা ১৮-১৯ শতাংশ ছিল। বর্তমানে বাংলায় ৩৪ শতাংশ মুসলিম বসবাস করেন, আর মুর্শিদাবাদ জেলায় এই সংখ্যা প্রায় ৭০ শতাংশ।” এই নিয়ে মুর্শিদাবাদের মুসলিম সমাজ যথেষ্ট উল্লাস প্রকাশ করেছেন। তবে এই মুহূর্তে আবার নতুন মসজিদ বিতর্ক তৈরী নিয়ে অনেকেই আপত্তি তুলেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *