বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: এবার বাংলাদেশের মুসলিমদের মধ্যেই প্রতিবাদ উঠেছে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসের গ্রেফতারি নিয়ে। এর আগেও ওই দেশের একাধিক বুদ্ধিজীবী সেই প্রশ্ন তুলিছেন।
এবার সাহিত্যিক ফরহাদ মজহার প্রশ্ন করেন, “চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গ্রেফতার করার যুক্তি কি? চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আমার কোনোভাবেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রদ্রোহী বলে মনে হয়নি। আমার যা জানা, তাতে এমন কোনও প্রমাণ নেই।” রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক ফরহাদ মজহার। একইসঙ্গে তিনি মনে করেন যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সে দেশের সংখ্যালঘু, সনাতনপন্থীদের অভাব-অভিযোগ ও দাবি-দাওয়া আন্তরিকভাবে শুনতে পারেননি।তিনি মনে করেন ইউনুস সরকারকে আরও সংবেদনশীল হয়ে হিন্দুদের কথা শোনা উচিত ছিল। তিনি পরোক্ষভাবে বোঝাতে চেয়েছেন, বর্তমান বাংলাদেশ সরকার ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে।
বাংলাদেশে নতুন সরকার গঠিক হবার পরে সংখ্যা লঘুদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল বলেই তিনি মনে করেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গ্রেফতার করার যুক্তি কি? চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আমার কোনোভাবেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রদ্রোহী বলে মনে হয়নি। আমার যা জানা, তাতে এমন কোনও প্রমাণ নেই। তাঁকে এই মামলায় গ্রেফতার করার আইনি ভিত্তিটা কি?” চিন্ময় কৃষ্ণকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গ্রেফতার করে আসলে বাংলাদেশকেই বিপদের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলেই মহম্মদ ইউনূসের সামনে উষ্মা প্রকাশ করেন ফরহাদ মজহার। সর্বধর্মের বৈঠকে কেন সনাতনী প্রতিনিধি নেই, সেই বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর মতে এখুনি এই সমস্যার সমাধানে আরও উদ্যোগ নেওয়া দরকার সরকারের।