বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: পাহাড়ের নতুন ঠিকানা এই বাগোরা গ্রাম। বাগোরা হল কার্শিয়াং জেলার সবচেয়ে উঁচু গ্রাম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশরা এখানেই গড়ে তুলেছিল বিমান ঘাঁটি। এখনও রয়েছে সেই বিমানঘাঁটি।

 

 

এখন এখানে চপার ওঠানামা করতে পারে। বায়ুসেনার ঘাঁটি কিন্তু এখনও রয়ে গিয়েছে বাগোরা। সেখানে অবশ্য সাধারকণের প্রবেশ নিষেধ। বাগোরার আরেকটি সৌন্দর্য হল পাইনের জঙ্গল। পাইন গাছের ফাঁকে মেঘ-রোদ্দুরে খেলা দেখতে অসাধারণ লাগে। ছোট্ট একটা গ্রামে বেশি মানুষের বাস নেই। গুটি কয়েক বাড়ি বাকিটা পুরোটাই প্রকৃতি। তাঁদেরই রাজত্ব এখানে। ছোট্ট একটা হোম স্টে রয়েছে। সেখানেই থাকার সুবন্দোবস্ত রয়েছে। গ্রামের সাদামাঠা খাবার খেয়ে গ্রামের পথে পথে ঘুরে বেড়ান। কার্শিয়াং থেকে বাগোরার দূরত্ব ১৭ কিলোমিটার। কিন্তু অনেকেই জানেন না এই বাগোরার কথা।

মেঘ গায়ে মেঘে যাঁরা পাহাড়ি গ্রামে ঘুের বেড়াতে চান তাঁদের জন্য আদর্শ জায়গা বাগোরা। ছোট্ট একটা গ্রাম। কাকভোরে এসে দেখা দিয়ে যাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা। তারপরে আবার মেঘের লুকোচুরি শুরু হয়ে যায়। কখনও মেঘ কেটে গিয়ে রোদ ঝলমল করে ওঠে। কখনও ছিঁটে ফোঁটা বৃষ্টি। কার্শিয়াংয়ের মধ্যে পড়ে বাগোরা। ৭২০০ ফুট উচ্চতায়। উচ্চতার জন্য এখানে ঠান্ডা একটু বেশি। কাজেই যাঁরা পুজোর ছুটিতে যাবেন ভাবছেন তাঁরা একটু বেশি শীতের পোশাক নিয়ে যাবেন। এখানে মেঘ গায়ে ভেসে বেড়ায়। মেঘালয়ে যেমনটা হয়। মাঝে মাঝেই উঁকি দিয়ে যাচ্ছে রোদ্দুর। ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। জায়গা ছোট্ট হলেও তার সৌন্দর্য কিন্তু টেক্কা দিতে পারে তাবর পর্যটন কেন্দ্রকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *