বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রাম’ নামটা বাংলার রাজনীতির খুবই বিখ্যাত। নন্দীগ্রাম থেকেই মমতার নেতৃত্বে আর শুভেন্দুর হাত ধরে শুরু হয় বাম বিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলেন। এখন সেই নন্দীগ্রাম কার – মমতার না শুভেন্দুর? এই প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই। দু’পক্ষ সমানে শক্তি প্রদর্শন করে চলেছেন। এই পরিস্থিতিতেই নন্দীগ্রামে সমবায় নির্বাচন।

 

সমবায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে। বোমাবাজি, অগ্নিসংযোগ, হাতাহাতি বাদ গেল না কিছুই। রবিবার বেলার দিকে এই ঘটনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় নন্দীগ্রাম ১নং ব্লকের কাঞ্চননগর গ্রামে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে পুলিশের সামনেই রীতিমতো বোমাবাজি চলতে থাকে। ঘটনাস্থলে যান তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা দিব্যেন্দু অধিকারী। এখন পর্যন্ত যা খবর, প্রবল উত্তেজনা তৃণমূল বিজেপির মধ্যে।

যদিও পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তমলুকের জনপ্রিয় এগ্রিকালচার সোসাইটির নির্বাচন আয়োজিত হচ্ছে জেলা জুড়ে। এই নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা। নন্দীগ্রামে এই সমবায়ের ৭টি আসন রয়েছে যেখানে সব মিলিয়ে ২২ জন প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নন্দীগ্রামে এই সমবায়ের নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে ১ নম্বর ব্লকের কাঞ্চননগর হাই স্কুলে। সকাল থেকেই এই ভোটগ্রহণ ঘিরে চাপা উত্তেজনা ছিলই। তৃণমূল বনাম বিজেপির লড়াইয়ে চারিদিকে দলীয় পতাকায় ছেয়ে দেওয়া হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপি ও তৃণমূলের লোকেরা বুথের আশেপাশে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে থাকে। এরপরেই আচমকাই শুরু হয়ে যায় ব্যাপক বোমাবাজি। মুহুর্মুহু বোমা ছোঁড়ার শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় ছুটে যায়। বিজেপির দাবি, পুলিশের সামনেই দুষ্কৃতীরা নির্দ্বিধায় বোমাবাজি চালিয়েছে। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত বিষয়টা কোথায় যায়!!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *