বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের পরিস্থিতি দিন দিন সারা বিশ্বের কাছে উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবার আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দুরা প্রতিবাদ শুরু করেছেন।
বাংলাদেশ নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগজনক রিপোর্ট পেশ করেছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্স-এর বহুদলীয় গোষ্ঠী ‘অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ ফর দ্য কমনওয়েলথ’। ব্রিটিশ সাংসদ বাংলাদেশ নিয়ে খুবই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এবার খানিকটা সেই সুরেই সোমবার ব্রিটিশ সংসদে সরব হন সেদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র সচিব প্রীতি প্যাটেল। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই সাংসদ বলেন, “যেভাবে বাংলাদেশে হিংসার ঘটনা বেড়েই চলেছে, সেটা খুবই উদ্বেগজনক। বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছি।” স্বাভাবিক কারণেই চাপ বাড়ছে ইউনুস সরকারের উপর। আর দীর্ঘ দিন এভাবে চোখ বন্ধ করে ইউনুস থাকতে পারেন না।
তিনি বাংলাদেশ নিয়ে শুধুই উদ্বেগ প্রকাশ করেন নি। ব্রিটিশ সরকারের প্রতি ছুঁড়ে দিয়েছেন একাধিক প্রশ্ন। সরকারকে প্রীতির প্রশ্ন, লাগাতার হিংসা রুখতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে কী বার্তা দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার? প্রীতি মনে করিয়ে দেন, পূর্বতন ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা বজায় রাখতে উদ্যোগ নিয়েছিল। পালাবদলের পর কি ব্রিটেনের সরকার সেই ভূমিকা পালন করতে পারছে? প্রশ্ন কনজারভেটিভ সাংসদের। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির সাংসদ হলেও বাংলাদেশে ইস্যুতে বিদেশ সচিব ডেভিড ল্যামির থেকে লিখিত বিবৃতি দাবি করেছেন ব্যারি গার্ডনার। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের অবস্থা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। তার প্রভাব পড়ছে ব্রিটেনের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের উপরে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, বাংলাদেশে যদি ধর্ম নিরপেক্ষতা বজায় না থাকে তাহলে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট চুপ করে থাকতে পারে না।