বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক :লোকসভা ভোটের মুখে ডামাডোল তৃণমূলে। একাধিক ইস্যুতে কার্যত ‘বিস্ফোরণ’ দলের মধ্যে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একের পর এক তোপ কুণাল ঘোষের। তৃণমূল ছাড়ার আগে এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন তাপস রায়ও। এই অবস্থায় সোমবার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন কুণাল ঘোষ।
দীর্ঘ প্রায় কয়েক ঘন্টা ধরে দুজনের মধ্যে বৈঠক হয়। একই সঙ্গে চলে খাওয়াদাওয়াও। এদিনের কুণাল এবং সদীপের দীর্ঘ বৈঠকে একাধিক বিষয় উঠে এসেছে বলেই খবর। যদিও সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি। তবে বৈঠকে তাপস রায়ের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে বলে খবর।
যদিও কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা স্পষ্ট করতে চাননি কুণাল। শুধু জানিয়েছেন, বৈঠকে তাপস রায়ের বিষয়ে কথা হয়েছে। তবে তৃণমূল ছেড়ে দিক তাপসদা তা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও চাননি বলে বলে আক্ষেপ করেছেন বলে দাবি কুণালের। তবে তাপস রায় যাতে অন্য কোনও দলে না যোগ দেন সেই আবেদন করেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের তৃণমূল নেতা বলেন, তাপসদার সঙ্গে দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক। কিন্তু দলের চৌকাঠ তিনি পেরিয়ে গিয়েছেন। তাও বলব কিছুদিন বিশ্রামে থাকুন। বিরোধী মঞ্চে গেলে অবস্থান গত দূরত্ব হবে। রাজনৈতিক তিক্ততা বাড়বে বলেও এদিন মন্তব্য করেন কুণাল।
এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে নিজের অতীততের কথাও এদিন তুলে ধরেন। বলেন, দীর্ঘ জীবনে একাধিক উত্থান-পতন হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের গণ্ডির বাইরে যাইনি। ফলে আরও একবার তাপস রায়কে ভেবে দেখার কথাও বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ এই নেতা।
অন্যদিকে উত্তর কলকাতায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, বরং শশী পাঁজা কিংবা অন্য কোনও মহিলা প্রার্থী দেওয়ার জন্য জোরাল সওয়াল করেন কুণাল ঘোষ। এই প্রসঙ্গে এদিন জিজ্ঞেস করা হলে তাঁর দাবি, দল যাকে দাঁড় করাবে তিনিই আমাদের প্রার্থী।
তবে এদিন কুণালের মুখে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী নয়না নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থীর হওয়ার কথাও উঠে আসে। বলেন, আমি তো মনে করে দিলাম এই আসনে নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল। মন্তব্যের যুক্তিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকেও এদিন হাতিয়ার করেন কুণাল।
পাশাপাশি গত কয়েকদিন আগে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে রোজভ্যালির দালাল বলে তোপ দাগেন কুণাল। এদিনের বৈঠকের পরেও এই বিষয়ে কথা বলবেন কুণাল? সাংবাদিকের প্রশ্নে জানান, আমার মুখে চা এখনও লেগে রয়েছে। আগে কি বলেছি, কোন পরিপ্রেক্ষিতে বলেছি, এখন তা নিয়ে বলার কিছু নেই, মুখোমুখি কথা হল। তৃণমূল একটা পরিবার। সমস্যা মিটে গিয়েছে বলেই দাবি প্রাক্তন তৃণমূল মুখপাত্রের।