বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:ভাবছেন পাহাড়ে বেড়াতে যাবেন! কিন্তু দার্জিলিং,কালিংপংএ তো জায়গা নেই, পেলেও গিজ গিজ করছে মানুষ। তাই আজ আমরা পাহাড়ের নতুন গ্রামের খোঁজ দিচ্ছি আপনাদের।

 

আর এই ভিড়েই একলা হতে চলে আসুন কালিম্পংয়ের কাছেই অফবিট লোকেশন বেনদা। ছোট্ট একটা পাহাড়ি গ্রাম। পাহাড়ের কোলে ছোট্ট একটা উপত্যকায় তৈরি হয়েছে এই গ্রামটি। ছোট ছোট কটেজে রয়েছে হোমস্টে। সঙ্গে আবার তিরতির করে বয়ে গিয়েছে পাহাড়ি ঝোড়া। ছোট্ট গ্রামে ফুলগাছের অভাব নেই। গ্রামের ছেলদের মাঝে ফুটবল খেলা দেখতে মন্দ লাগবে না। একেবারেই পর্যটকদের ভিড় নেই এখানে। সন্ধে থেকে আগুন জ্বালিয়ে জমিয়ে আড্ডা। তার সঙ্গে গরম গরম ধোঁয়া ওঠা মোমো আর স্যুপ।

সকালে ঝকঝকে রোগে গা সেঁকে চুমুক দিন চায়ের কাপে। দূেরই উঁকি দিতে দেখা যাবে কাঞ্জন জঙ্ঘা। অবশ্য আকাশ পরিষ্কার থাকলেই সেই সুযোগ মিলবে। গ্রামের রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে দেখা মিলবে কাঞ্চনজঙ্ঘার। রাতে দেখবেন সিকিমের আলোর ঝলকানি। এক নৈস্বর্গিক অনুভূতি হবে আপনার।

গ্রামের কাছেই ছোট্ট নদীর পাড়ে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে দিতে পারবেন। চার পাশে বিভিন্ন রকমের সব চাষ। সরু রাস্তা দিয়ে গিয়ে পৌঁছে যাওয়া যায় এই নদীর পাড়ে। পাশেই রয়েছে মন্দির। ঋষি খোলা নদীর কুলুকুলু বয়ে যাওয়া আর তার পাড়ে ছোট্ট একটা মন্দির। বেশ নান্দনিক পরিবেশ। মন ভরে যাবে। অনেকে এখানে ট্রেক করতে পারেন। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে অসংখ্য ফুলের গাছ। বেনদায় খুব একটা পর্যটকদের সমাগম হয় না। তাই এখানে আসতে হলে আগে থেকে হোমস্টে বুক করে আসাই বাল। কালিম্পং থেকে গাড়ি করেও আসা যায়। তবে হোম স্টের গাড়িতে এলে সুবিধা হবে বেশি। এনজেপি থেকে শেয়ার গাড়িতে পৌঁছে যান কালিম্পং সেখান থেকে আবার গাড়িতে বেনদা। যে পথেই যান, দু’পাশের সৌন্দর্য কিন্তু অসাধারণ। মন জুড়িয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *