বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত ও আরও প্রায় ৩০০ জন আহত হন। এই ঘটনার পর মামলাগুলো দায়ের করা হয়।

 

তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ওই হামলায় অল্পের জন্য রক্ষা পান। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার একটি আদালত গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু তাৎপরে আপল ও নতুন আপল ইত্যাদি চলতে থাকে। আর এর মধ্যেই পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। পরিবর্তন হয় বাংলাদেশের রাজনৈতিক অভিমুখ।

ডেথ রেফারেন্স এবং আপিলের শুনানির সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে সব আসামির খালাস চান। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার এবং মো. রাসেল আহমেদ মামলাগুলোতে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায় বহাল রাখার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টকে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আদালতে নতুন করে শুরু হয় বিশ্লেষণ। উঠে আসে নতুন করে নানা প্রশ্ন। শেষ পর্যন্ত ঠিক হয় ১ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা হবে।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ডেথ রেফারেন্স নাকচ করে এবং আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে এই রায় দেওয়া হয়।
ফলে এই মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ দণ্ডিত সব আসামি খালাস পেলেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এই রায় দেন। কিন্তু এই রায় নিয়ে প্রবল ক্ষুব্ধ আওয়ামীলীগের সদসারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *