বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: আজ ভারতের সংবিধান দিবস। সেই উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পালিত হচ্ছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। ভারতের সংবিধান রক্ষার ৭৫ বছর পূর্ণ হল ২৬ নভেম্বর ২০২৪। সেই উপলক্ষেই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
এই দিন রাষ্ট্রপতি ছাড়া আর কারা কারা বক্তৃতা দেবেন তা নিয়ে বিতর্ক তৈরী হয়েছিল। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল জে বিরোধী দলনেতাকে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হোক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বক্তব্য রাখেন শুধু রাষ্ট্রপতি। সেন্ট্রাল হলে রাষ্ট্রপতির ভাষণে এই দিন উঠে আসে সংবিধান তৈরি করার যে কঠিন কাজ সেই কথা। তিনি বলেন, “এই সংবিধান সাংঘাতিক মেধা, এবং তিন বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল। স্বাধীনতা সংগ্রামের ফল এই সংবিধান। সেই অতুলনীয় আন্দোলনের আদর্শকেও সংবিধানে বিশেষ গুরুত্ব এবং স্থান দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের প্রস্তাবনাতেও সেই ভাবধারাকে সুস্পষ্ট রূপে সংক্ষিপ্ত ভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে।” তিনি ভারতীয় সংবিধানের গুরুত্ব বিস্তারিতভাবে বলেন। তিনি বলেন, সংবিধানের মর্যাদা রাখতে আমাদের সকলকে করতে হবে।
তিনি বক্তব্যর প্রথমেই সংবিধানের সমস্ত গুণ উল্লেখ করেন। বলেন, “ন্যায়, স্বন্ত্রতা, ক্ষমতা এবং বন্ধুতা এই আদর্শের উপরেই তৈরি হয়েছে আমাদের সংবিধান।” তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে দেশের আর্থিক উন্নয়নের স্বার্থে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হল জিএসটি।” সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে ‘নারীর ক্ষমতায়ন জরুরি বলেও জানান তিনি। রাষ্ট্রপতি মুর্মু আরও বলেন, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়মকে কার্যকরী করে সাংসদরা আধুনিক চিন্তা ভাবনার পরিচয় দিয়েছে।” তিনি বলেন, দেশের দরিদ্র মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানো ও নারী শক্তির বিকাশের উপর আমাদের জোর দিতে হবে। তিনি বলেন, “গত কয়েক বছরে পিছিয়ে পড়া জাতির উন্নয়নের জন্য বিপুল কাজ করেছে সরকার। এখন গরিব মানুষ পাকা বাড়ি পাচ্ছেন। জল, বিদ্যুৎ, সড়কের মতো সাধারণ সুযোগ সুবিধাও উপভোগ করছেন। খাদ্য সুরক্ষা এবং চিকিৎসাও মিলছে।” আজ
দ্রৌপদী মুর্মুর পাশেই উপস্থিত ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার স্পিকার জগদীপ ধনখড়। তাঁর পাশেই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর ছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে সহ অনেকে।