বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: অবশেষে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসমিতির বৈঠক শেষ হয়েছে। সারাদিন ধরে সেই বৈঠকে বিভিন্ন আলোচনা হয় ও তার প্রেক্ষিতে বেশ কয়েকটি নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সেই বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, তাদের সোমবারের সভায় তৈরী হয়েছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। তিনি জানিয়েছেন, শৃঙ্খলারক্ষায় তিনটি আলাদা কমিটি তৈরি করা হল। সংসদীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্য সংখ্যা ৫। তাঁরা হলেন –
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
ডেরেক ও ব্রায়েন
কাকলি ঘোষ দস্তিদার
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
নাদিমুল হক।
এছাড়াও বিধানসভায় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির ৬ সদস্য –
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
নির্মল ঘোষ
অরূপ বিশ্বাস
ফিরহাদ হাকিম
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য
দেবাশিস কুমার।
আরও একটি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তৈরী করা হয়েছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে দলীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। যার ৫ জন সদস্য আছেন। তারা হলেন –
সুব্রত বক্সি
অরূপ বিশ্বাস
ফিরহাদ হাকিম
সুজিত বসু
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কথায় খুব পরিষ্কার যে এবার দল কঠোর হাতে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা করবে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখন থেকে দলের কেউ যখনতখন যা খুশি মন্তব্য করতে পারবেন না। কাউকে তিনবার শোকজের পর সাসপেন্ড করা হবে।” অতীতে বিভিন্ন ইস্যুতে দলের নেতা, মন্ত্রী, সাংসদরা বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়েছেন। আর জি কর আবহে চিকিৎসকদের উদ্দেশে শাসকদলের নানা জনের নানা মন্তব্য উঠে এসেছে শিরোনামে। সমালোচনাও কম হয়নি। সেসব রুখে দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে এবার শৃঙ্খলায় আরও জোর দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই মুহূর্তে তৃতীয় বৃহত্তম দল তৃণমূল। সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা নির্বাচনেও রাজ্যে আরও শক্তিশালী হয়েছে তৃণমূল। অন্যান্য রাজ্যেও সাংগঠনিক একথা মনে করিয়ে চন্দ্রিমা বলেন, তৃণমূল আর আঞ্চলিক দল নয়, সর্বভারতীয় দল। এখন থেকে সেটাই লেখা হবে। এছাড়াও তিনি জানান, এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় জেলায় জেলায় দলের নবীন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হবে মমতা ব্যানার্জির দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাস। সেই ইতিহাস সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে তারা। পাশাপাশি ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘মানুষের সাথে, মানুষের পাশে’, নামে একটি নতুন কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে তৃণমূল। বৈঠকের শুরুতেই তৃণমূল নেত্রী রাজ্যে ছটি বিধানসভার উপনির্বাচনের জয়ের জন্য জনগণের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।