বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খন্ডকে নিজের দেখলে আনার জন্য সব রকম চেষ্টা করেও ব্যর্থ বিজেপি। ঝাড়খন্ড আবারও আস্থা রাখলো জেএমএম নেতৃত্বাধীন জোটের উপর। এই নিয়ে প্ররিক্রিয়া দিয়েছেন কূটনৈতিক মহল।
অনেকেই মনে করেন, বাংলায় মমতার ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ যেভাবে বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে, সেভাবেই কাজ করেছে ঝাড়খন্ডের ‘মাইয়া সম্মান প্রকল্প।’ এবার ভোটে মহিলা ভোটের প্রভাব দেখা গিয়েছে ঝাড়খণ্ডে। জেএমএম সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ শানিয়েছিল বিজেপি। অনুপ্রবেশ ইস্যু, দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা। কিন্তু, ভোটের ফল বলছে, ৮১ বিধানসভার এই রাজ্যে ফের মসনদে বসছে জেএমএম নেতৃত্বাধীন জোট। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, এই পিছনে রয়েছে মহিলাদের জন্য হেমন্ত সোরেন সরকারের মাইয়া সম্মান প্রকল্প।
এই প্রকল্পে মহিলাদের মাসে ১০০০ টাকা দেওয়া হয়। আদিবাসী অধ্যুষিত এই রাজ্যের ৮১ আসনের মধ্যে ৮৫ শতাংশ কেন্দ্রে মহিলা ভোটারদের ভোটদানের হার পুরুষদের চেয়ে বেশি। ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলাদের এই প্রকল্পে মাসে ১০০০ টাকা দেওয়া হয়। এই বছরের অগস্টের প্রথমে এই প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, মাত্র কয়েকমাস আগে এই প্রকল্প চালু করলেও মহিলারা হেমন্ত সোরেনকে সমর্থন জানিয়েছেন। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে একই সূত্রে
শিন্ডের সরকার ‘লড়কি বহিন যোজনা’ কাজ করেছে। দুই রাজ্যের ফলের পর ফের আলোচনায় বাংলার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পিছনে মহিলা ভোটারদের সমর্থনের কথা একবাক্যে স্বীকার করেন তৃণমূলের নেতারা। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের সময় দুর্নীতি ইস্যুতে বিরোধীরা তৃণমূলকে লাগাতার আক্রমণ করে। ভোটের ফলে দেখা যায়, বাংলায় ৪২টি আসনের মধ্যে ২৯টি পেয়েছে তৃণমূল। লোকসভা ভোটের প্রচারে লক্ষ্মীর ভান্ডারকে হাতিয়ার করেছিল রাজ্যের শাসকদল। এদিন বাংলার ৬ বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের ফল বেরিয়েছে। ৬টি আসনই পেয়েছে তৃণমূল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনও মহিলার হাতে টাকা তুলে দেওয়ার অর্থ সেই পরিবারের উপর শাসকদলের একটা ভাবমূর্তি তৈরি হওয়া। আর তারই ফল বাংলার মতো পেয়েছে ঝাড়খন্ড।