বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ি ও আশপাশের এলাকার নতুন প্রজন্মের একাংশ জড়িয়ে পড়ছে অনলাইন প্রতারণাচক্রে । অনলাইন গেমিংয়ের কয়েন দেওয়ার নাম করে টাকা লুটের অভিযোগ উঠছে। এই ক্ষেত্রে অবশ্য অনলাইন গেমিং-এ আসক্ত কমবয়সিদের টার্গেট করা হচ্ছে।

 

তাদের সহজেই ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে। শিলিগুড়ির এনজেপি, বাবুপাড়া, শক্তিগড়, কাওয়াখালি, ফুলবাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকার নতুন প্রজন্মের একাংশ এই ফাঁদে জড়িয়ে পড়েছে। প্রতারণার টাকায় নতুন প্রজন্মের তরুণরা বিলাসবহুল জীবনযাপন শুরু করেছে। দামি বাইক, চারচাকার গাড়ি কিনে নিয়ে তাদের অনেকে ঘুরছে। আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা পরিবার থেকে উঠে আসা এই তরুণদের হঠাৎ জীবনযাত্রা পালটে যেতে দেখে তাই অনেকেই অবাক।

বিষয়টি নিয়ে এথিক্যাল হ্যাকিং বিশেষজ্ঞ সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, ‘ছোটরা এখন অনলাইন গেমের ক্ষেত্রে আসক্ত হয়ে পড়ছে। সেই জন্য তাদের সহজে টার্গেট করা যাচ্ছে। অভিভাবকদের ক্রেডিট কার্ড, ইউপিআই ব্যবহার করে তারা অনলাইন গেমে টাকা ঢালছে। সেক্ষেত্রে প্রতারণার অনেক ঘটনা ঘটছে। এই ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে মোবাইলে আন্তর্জাতিক নেট ব্যাংকিং বন্ধ করে রাখতে হবে। এতে টাকা খোয়ানোর আশঙ্কা কম থাকবে।’

শহরে যারা প্রতারণাচক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, তারা কেউই অফিস ভাড়া নিয়ে কাজ করে না। সমস্তটাই হয় মোবাইলে। যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের অনেকে আবার কলেজ পড়ুয়া। এর পেছনে রয়েছে বড়সড়ো মাথা। গেমিং কয়েন প্রতারণার মাধ্যমে প্রতিদিন প্রতারকরা হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। পাড়ায় পাড়ায় আড্ডা দেওয়ার ছলে প্রতারণার কারবার চলে। মোবাইল হাতে নিয়ে পাড়ার মোড়ে, মাঠে অনেককে গেম খেলতে দেখা যায়। মোবাইলে মাথা গুজে প্রতারকরা অবশ্য নিজেদের কাজ করে চলে।

অনলাইন গেমের স্টেজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কয়েন কিনতে হয়। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট লিংক পাঠিয়ে প্রতারকরা গেমে আসক্তদের কাছে কয়েন কেনার প্রস্তাব রাখে। টাকা পাঠালে প্রথম কয়েকবার অনলাইনে কয়েন পাঠানো হয়। প্রতারকরা দুই একবার কয়েন পাঠিয়ে গেমে আসক্তদের বিশ্বাস অর্জন করে নেয়। এরপরই বেশি টাকার কয়েন কেনার প্রস্তাব রাখা হয়। সেখানে অনলাইনে একবারে বেশি টাকা দিলেই তা প্রতারকরা লুট করে নেয়। এই ক্ষেত্রে অভিভাবকরা অনেক সময়ই বিষয়গুলি ধামাচাপা দিতে চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হতে চান না।

শিলিগুড়িতে প্রতারণাচক্রের সঙ্গে এমন অনেকে যুক্ত রয়েছে যারা অপরাধমূলক কাজের জন্য গ্রেপ্তারও হয়েছিল। এর মধ্যে এনজেপি থানা এলাকার কয়েকজন রয়েছে। চক্রের সঙ্গে দিন প্রতিদিন অনেকে যুক্ত হচ্ছে। যারা অসৎ ছিলেন না তারা গড়িয়ে পড়ছেন এই গেমিং কয়েন এর খেলাতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *