বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:: নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন (এনজেপি)তে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা এনবিএসটিসির বাস ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ তুললেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব ।
এমনকি এর প্রতিবাদে ধর্নায় বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। দুর্গাপুজো পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মেয়র। কালীপুজোর আগে রেল সিদ্ধান্ত বদল না করলে এনবিএসটিসি’র চেয়ারম্যান, স্থানীয় কাউন্সিলার এবং পর্যটন ব্যবসায়ীদের নিয়ে ধর্নায় বসবেন বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন গৌতম। যদিও রেলের দাবি, স্টেশনে যেতে কোনও বাসকেই বাধা দেওয়া হচ্ছে না। এনবিএসটিসি কিংবা রাজ্যের তরফে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি বলে দাবি করেছে রেল।
গৌতম বলেছেন, ‘ট্রেন থেকে নেমে যাত্রীদের বাচ্চা সহ ব্যাগপত্র নিয়ে এতদূর হেঁটে আসতে হচ্ছে বাসের জন্য। বয়স্কদের কষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে রোদ এবং বৃষ্টিতে সমস্যা আরও বাড়ে। অথচ সরকারি বাস স্টেশনে যেতে দিচ্ছে না রেল। এটা মেনে নেব না। পুজোয় চালু করতে চাইছি। ওঁরা না আটকালে ভালো।’ শনিবার বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী এবং পরিবহণ সচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন মেয়র। নবান্ন স্তরেও যাতে রেলের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলা হয়, সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবকে অনুরোধ করবেন বলে জানিয়েছেন গৌতম। রাজ্য সরকারের কথাতেও যদি কাজ না হয়, তবে তাঁর ধর্নায় বসা একপ্রকার নিশ্চিত করে দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জনসংযোগ আধিকারিক নীলাঞ্জন দেবের প্রতিক্রিয়া, ‘স্টেশনে বাস ঢুকতে দেওয়া হবে না, এমন কোনও নির্দেশিকা নেই। নেপালের বিভিন্ন বাস, সেনাবাহিনীর বাস তো ঢুকছে। যেহেতু এনজেপি স্টেশনটি বিশ্বমানের হবে, সেই লক্ষ্যে এখন কাজ চলছে। সেখানে যাতায়াতে একটু সমস্যা হতে পারে।’ তবে এনবিএসটিসি’র বাস যে স্টেশনে ঢুকতে পারছে না, সেই বিষয়ে রেলকে কেউ জানায়নি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। পাশাপাশি বাস স্টেশনে ঢুকলে ‘রেলের পক্ষ থেকে কোনও বাধা নেই’ বলে জানিয়েছেন নীলাঞ্জন।
এনজেপি থেকে বিভিন্ন রুটে সিটিবাস পরিষেবা চালু করেছিল এনবিএসটিসি। আগে স্টেশন চত্বর থেকেই যাত্রীরা বাস ধরতে পারতেন। কিন্তু সম্প্রতি কোনও সরকারি বাস স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বাসগুলি স্টেশন চত্বর থেকে দূরে সেনা ক্যাম্পের কাছে রাখতে হচ্ছে। এর ফলে সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। একাধিকবার এ নিয়ে স্থানীয় স্তরে রাজ্য এবং রেলের আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে বারবার টক টু মেয়রে ফোন আসছে বলে জানিয়েছেন গৌতম। এদিনও তাঁর কাছে ফোন আসে। তারপরেই রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়র। ‘রাজনৈতিক কারণে এই ধরনের কাজ করা হচ্ছে’ বলে তাঁর অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘স্টেশনে বাস ঢোকার ক্ষেত্রে কোনও বারণ নেই। গৌতম দেবের কথা একেবারেই ভিত্তি হিন। কোন ঘটনাই ঘটেনি এই ধরনের। উনি শুধু রেষারেষিটা বাড়াতে চাইছেন।