বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদী ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসার আগে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক হয়ে গিয়েছে গতকাল রাতে। কয়েক দিনের মধ্যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারে বিজেপি।
ক্রিকেট থেকে বিনোদন জগতের একঝাঁক সেলেবকে বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে টিকিট দিতে পারে বলে খবর।
সূত্রের খবর, ১০০ জনের প্রার্থী তালিকা ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত। লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে তা প্রকাশ করে দেওয়া হতে পারে। বেশ কিছু আসনকে দুর্বল আসন বলেও চিহ্নিত করেছে বিজেপি। আরামবাগ-সহ যে কেন্দ্রগুলিতে অল্প ভোটে বিজেপি হেরেছিল, সেখানে জোরকদমে প্রচার শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।
যুবরাজ সিং বিজেপি প্রার্থী হবেন বলে খবর। জলন্ধর কেন্দ্রে বিজেপির পছন্দের তিন প্রার্থীর মধ্যে যুবরাজের নাম রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আবার সানি দেওলের গুরদাসপুর থেকেও তাঁকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে। অক্ষয় কুমারকে চণ্ডীগড়, কিংবা দিল্লির কোনও একটি আসন থেকে প্রার্থী করা হতে পারে।
দিল্লির একটি আসনে বিজেপির টিকিটে দাঁড়াতে পারেন প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের কন্যা বাঁশুরী স্বরাজ। আসানসোলে শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রার্থী করবে তৃণমূল কংগ্রেস। উপনির্বাচনে হেরে যাওয়া আসনটি পুনরুদ্ধারে বিজেপির বাজি হতে পারেন ভোজপুরী অভিনেতা ও গায়ক পবন সিং।
মিঠুন চক্রবর্তীকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হতে পারে বলে চর্চা চলছে। বাংলার কোনও সেফ সিট থেকে তাঁকে প্রার্থী করতে পারে বিজেপি। কলকাতা উত্তরের পাশাপাশি তমলুক বা রানাঘাটে মিঠুন বিজেপির বাজি হতে পারেন বলে চর্চা রয়েছে। দক্ষিণ ভারতের কোনও আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন জয়া প্রদা।
নরেন্দ্র মোদী বারাণসী কেন্দ্র থেকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অমিত শাহ দাঁড়াবেন গুজরাতের গান্ধীনগর আসনে। রাজনাথ সিং লখনউয়ে। ভূপেন্দ্র যাদব, ধর্মেন্দ্র প্রধান, মনসুখ মাণ্ডব্যর মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হতে পারে। কেন না, তাঁদের ইতিমধ্যেই রাজ্যসভা নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়নি বিজেপি।