বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কোচবিহারের সিতাই ব্লক। কোচবিহার ও দিনহাটা মহকুমা শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে সিতাই ব্লকের পাঁচ পুজোর থিমে এবার থাকছে বিশেষ চমক। শহরকে টেক্কা দেওয়াই এই পাঁচ পুজো কমিটির এবার একযোগে লক্ষ্য।
সিতাই ব্লকের তিন দিক কাঁটাতারের সীমান্তে ঘেরা। আর একদিকে সিঙ্গিমারি নদী। প্রত্যন্ত এই ব্লকে এবার পাঁচটি দুর্গাপুজো কমিটি পুজোর থিমে রীতিমতো চমক দিচ্ছে। এই পুজোগুলি হল সব্যসাচী সংঘ, সুভাষপল্লি বয়েজ ক্লাব, পঞ্চানন সংঘ, শীলদুয়ার নিউ জাগৃতি সংঘ ও চৌরঙ্গি ক্লাব।
সব্যসাচী সংঘের ৫৫তম বর্ষে পুজোর থিম স্বস্তিক। মণ্ডপে বাঁশের তৈরি কুলোয় পুজোর ঘট থেকে শুরু করে নানা বিষয় তুলে ধরা হবে। পৌরাণিক আদলে প্রতিমা গড়ছেন কলকাতা কুমোরটুলির শিল্পী লক্ষ্মণ পাল। পুজো কমিটির সম্পাদক বরুণ সাহা ও সভাপতি জয়শংকর দত্ত জানান, তাঁদের আয়োজন দর্শনার্থীদের মন কাড়বে।
সুভাষপল্লি বয়েজ ক্লাবের পুজো তুলনায় নবীন। এবার তাঁদের চতুর্থ বর্ষের পুজোর থিম নারী। নারীর নানা রূপের মধ্যে মাতৃরূপটিকে এবার মণ্ডপে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। এই পুজো কমিটির সম্পাদক কুন্তল বসুনিয়া ও ক্লাবের সভাপতি শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় জানান, প্রতিমায় থাকছে মানবিক রূপ। পঞ্চানন সংঘের পুজোর এবার ৫৫ বছর। তাঁদের থিম বিবর্ণ। হচ্ছে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত মণ্ডপ। সংঘের সভাপতি বিশু রায় প্রামাণিক জানান, সীমান্ত এলাকায় দর্শনার্থীদের জন্য এবার তাঁদের মণ্ডপ রীতিমতো অভিনব হিসাবে বিবেচিত হবে। শীলদুয়ার নিউ জাগৃতি সংঘের পুজোর এবার ৫৬তম বর্ষ। তাদের থিম দৃষ্টিকোণ। পুজোকে কিভাবে আকর্ষণীয় করে তোলা যায় সেদিকে দৃষ্টি ষ্টি রাখছে তারা। সব মিলিয়ে কুচবিহারে শহরের চাইতে এবারে গ্রামের পূজো বেশি আকর্ষণীয় হবে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।