বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: সত্যজিৎ রায় বেঁচে থাকলে নির্ঘাত ফেলুদা সিরিজের আরেকখানা কাহিনী লিখে ফেলতেন। কারণ বইয়ে পড়া কিংবা রুপোলি পর্দায় দেখা গোয়েন্দা গল্পের চাইতে এই ঘটনা কোনও অংশেই কম নয়। তিন রাত কাটিয়ে গেল চোর। আর ওই চোরের খোঁজে এখন হন্যে হয়ে ঘুরছেন শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটান পুলিশের গোয়েন্দারা।
ঘটনার সূত্রপাত গত অগাস্ট মাসে। ওই মাসের ৫ তারিখ ভুটানের পারোর লাদিং গোয়েংপা বুদ্ধমন্দির থেকে চুরি যায় দর্জে নামজন ও দর্জে চ্যাংয়ের দুটি মূর্তি। রয়্যাল ভুটান পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মূর্তি দুটির আনুমানিক বাজারমূল্য ভারতীয় মুদ্রায় ৩৫৭ কোটি ৭৭ লক্ষ ৩০ হাজার ১৩ টাকা।
সেদেশের গোয়েন্দাদের দাবি, মূর্তি দুটি পাচার হয়ে গিয়েছে নেপালে । তবে অভিযুক্ত গা-ঢাকা দিয়েছে শিলিগুড়িতে। ইতিমধ্যে শিলিগুড়ি পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) সহ শিলিগুড়ি পুলিশের অভিজ্ঞ পুলিশকর্তাদের কাজে নামানো হয়েছে। তবে এখানকার গোয়েন্দা সূত্রে খবর, অভিযুক্ত শিলিগুড়ি থেকেও সম্প্রতি পালিয়ে গিয়েছে। আপাতত তার ঠিকানা নয়াদিল্লি। সেইমতো দিল্লি পুলিশকেও সচেতন করা হয়েছে। অভিযুক্তকে ধরতে শিলিগুড়ি পুলিশের একটি দল নয়াদিল্লিতে যেতে পারে বলেও খবর। গোটা ঘটনা ইতিমধ্যে ইন্টারপোলকে জানিয়েছে ভুটান পুলিশ।
শিলিগুড়ির পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত শিলিগুড়িতে কোথায় ছিল, এখানে তাকে কেউ সাহায্য করেছে কি না ইত্যাদি বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোটা ঘটনায় সরাসরি নবান্নের মাধ্যমে রিপোর্ট যাচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে।