বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:আর জি কর কান্ড নিয়ে ‘থ্রেট কালচার’ শব্দটা সামনে চলে এসেছে। পরে দেখা গেছে, শুধুই স্বাস্থ্যদপ্তর নয় বাংলার সর্বত্রই এখন থ্রেট কালচার চলছে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের তীব্র তিরস্কারের পরে মঙ্গলবার রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর ঘোষণা করলো থ্রেট কালচার নিয়ে তদন্ত কমিটি।এই নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশেষ করে তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে এই কমিটি। তাঁরা হলেন—রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করবী বড়াল, ওই কলেজের প্রাক্তন ডিন স্বরূপ সাহা এবং কৌশিক কর। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৩০ অক্টোবর তারিখের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে স্বাস্থ্যভবন। এখন দেখার বাস্তবিক কতটা সদিচ্ছা আছে স্বাস্থ্য দপ্তরের। কারণ সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য দপ্তরের কেউ কেউ যুক্ত আছেন এই থ্রেট কালচারের সঙ্গে।
একাধিক মেডিক্যাল কলেজ থেকে এই হুমকি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। এই বিষয়টি নিয়েও সমাধান চান জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজনের নাম ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। তাদের মধ্যে পরিচিত দুটি নাম হল, বিরূপাক্ষ এবং অভীক। তবে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, এই থ্রেট কালচারের পিছনে বড় কোনও মাথা থাকতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট বারবার চিকিৎসকদের নিরাপত্তার ইস্যুকে সামনে নিয়ে আসছে। এবার তো সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। দুর্গাপুজোর পর পরবর্তী শুনানি হবে। তাই সমস্ত সরকারি হাসপাতালে রাজ্য সরকার সিসিটিভি লাগানোর কাজ শুরু করেছে। সোমবার আরজি কর হাসপাতাল মামলায় সুপ্রিম কোর্টে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা, সাগর দত্ত হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এবং একাধিক বিষয় ওঠে। এদিকে মঙ্গলবার থেকে আবারও কর্মবিরতি শুরু করেছে জুনিয়র চিকিৎসকেরা।